বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মৌসম বলেন, এদিনের বৈঠকে মূলত পুর পরিষেবা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। প্রশাসকমণ্ডলী ও কো-অর্ডিনেটররা এই বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আগামীতেও ঘন ঘন এই ধরনের বৈঠক হবে। দল চায়, পুর পরিষেবা নিয়ে নাগরিকদের মনে যাতে কোনও ক্ষোভ না থাকে। নিকাশি, বর্জ্য নিষ্কাশন, পানীয় জল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দায়িত্বে প্রশাসকমণ্ডলী এলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব পুরোপুরি মেটেনি। কো-অর্ডিনেটরদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল, প্রশাসকমণ্ডলী তাঁদের যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না। অন্যদিকে, প্রশাসকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কো-অর্ডিনেটররা শুধুমাত্র করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন। কাউন্সিলার হিসেবে তাঁদের যে সরকারি ক্ষমতা ছিল, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে সেই কাজ তাঁরা সব সময় করতে পারেন না। কারণ, সেই মর্মে কোনও সরকারি নির্দেশনামা নেই। দু’পক্ষের মধ্যে এই বিতর্ক মেটানোও এই বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে সব সময় কিছু সমস্যা থাকে। সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় রেখে সেই সমস্যা মেটানোর কথা এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। নিকাশি বা বর্জ্য নিষ্কাশন নিয়ে সমস্যা আগেও ছিল। এখনও কিছুটা রয়েছে। সব সমস্যা মেটানোর কাজ চলছে।
প্রশাসকমণ্ডলীর অপর সদস্য দুলাল সরকার বলেন, আমি নিজে এই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কো-অর্ডিনেটরদের নিজস্ব এলাকায় কী কী কাজ করা প্রয়োজন, তাঁরা সেগুলি জানালে প্রশাসকমণ্ডলী সেই কাজ করার চেষ্টা করবে। আমরা সকলেই দলের কর্মী। আবার একইসঙ্গে পুরসভা পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত। দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই এই ধরনের আলোচনা বারবার হওয়া দরকার।
তৃণমূল নেত্রী তথা প্রশাসকমণ্ডলীর অপর সদস্য চৈতালি সরকার বলেন, কো-অর্ডিনেটরদের যেমন পুর পরিষেবায় সাহায্য করতে হবে, তেমনই দলীয় কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রেও সক্রিয় হতে হবে। তবে এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন কো-অর্ডিনেটর। তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মৌসম। তিনি বলেন, যাঁরা হাজির ছিলেন। তাঁদের নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারপার্সনের উপরে ক্ষুব্ধ কো-অর্ডিনেটরদের অনেকেই সম্প্রতি মৌসমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান, একতরফা কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রশাসকমণ্ডলী। কো-অর্ডিনেটরদের উন্নয়নের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে না। পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।