উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
লকডাউন কার্যকর করতে মঙ্গলবার রাতেই শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পজিশন নেয় পুলিস। মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড পাতা হয়। বুধবার ভোর থেকে পুলিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। সকালের দিকে মোটর বাইক ও গাড়ি নিয়ে কিছু লোক রাস্তায় বের হন। তাঁদের থামিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে প্রায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এদিন ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত কিছুই বন্ধ ছিল। সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বাজার কিছুই খোলেনি। রাস্তায় টোটো, অটো, বাস কিছুই চলাচল করেনি। দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের ছবিটাও ছিল একই রকম। কোচবিহারে লকডাউনে ভালো সাড়া পড়েছে। সকাল থেকেই কোচবিহারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তাতেও তেমন লোক সমাগম ছিল না। পুলিসি তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। যানবাহনও রাস্তায় বেরয়নি। কোচবিহারের ডিএসপি সদর সমীর পাল সকাল থেকে শহর ও গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন বাজারগুলিতে টহল দিয়েছেন। মাথাভাঙা, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ প্রভৃতি এলাকাতেও কঠোরভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা শিকারপুর, কাউয়ারডারা প্রভৃতি বাজার এলাকাতে টহল দেন। দিনহাটা, ভেটাগুড়ি, গোসানিমারি প্রভৃতি এলাকায় সকালের দিকে কিছু মানুষ রাস্তায় বেরলে পুলিস তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। আলিপুরদুয়ার জেলাও স্তব্ধ ছিল বলা যায়। জেলা শহর ছাড়াও ফালাকাটা, কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাট ব্লক শহরগুলিতে কোথাও যান চলাচল করেনি। বন্ধ ছিল দোকানপাট ও হাটবাজারও। লকডাউন ভঙ্গ করে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য কুমারগ্রাম ও আলিপুরদুয়ারে ১২ জন করে, শামুকতলায় ১৫, বীরপাড়ায় ১৬ ও কালচিনিতে ১৫ জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। লকডাউনের আওতায় না থাকার জন্য একমাত্র জেলার চা বাগানগুলিতে এদিন কাজ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, লকডাউনকে কেন্দ্র করে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
লকডাউনে বুধবার কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা। দোকান, বাজার বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। সন্ধ্যা পর্যন্ত লকডাউন ভাঙার অভিযোগে পুলিস ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
শিলিগুড়িতে ফাঁকা রাস্তা। নিজস্ব চিত্র