উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় কয়েকশো বাসিন্দার বসবাস। যেভাবে দিনের পর দিন নদী লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে যে কোনও দিন যে কোনও বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা নরেশ ভৌমিক বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তেই আতঙ্কে রয়েছি। রাতে ভালো করে ঘুম হয় না। কী জানি, যদি কখনও আমাদের বাড়িও নদীতে তলিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ভাঙনের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার তিনটি বসতবাড়ি তো নদীগর্ভে চলে গিয়েছে, সেইসঙ্গে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে ৩০ বিঘারও বেশি কৃষিজমি। এলাকায় ভাঙন রোধ করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনকেও সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। মাথাগোঁজার সামান্য ঠাঁইটুকুও যদি নদীগর্ভে চলে যায়, তাহলে পরিবার নিয়ে আমরা কোথায় যাব?
এবিষয়ে তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সেচ দপ্তরের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাঙন রোধের ব্যাপারে কথা হয়েছে। নদীর জল একটু কমলেই কাজ শুরু করা হবে।
তপনের বিডিও মাসুদ করিম শেখ বলেন, ইতিমধ্যেই সুকদেবপুর এলাকায় সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন বর্ষার মধ্যে নদীতে ভাঙন রোধের কাজ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি কমলেই দ্রুত কাজ করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকেও সরকারের তরফে সাহায্য করা হবে।
এবছর গোটা জেলাতেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। প্রায় সপ্তাহ দু’য়েক আগে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে পুনর্ভবা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল। নদীতে জল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সেসময় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। তারপর আবার নদীর জলস্তর কমতে শুরু করে। জল কমা শুরু হতেই এলাকায় নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে উপার্জন করেন। নদীর গর্ভে চাষের জমি চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরাও। এদিকে ভাঙনের ফলে যাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদেরও অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে। ব্লক প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, গৃহহীনরা ফ্লাড রেসকিউ শেল্টারে থাকতে পারেন। সেখানে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।