উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে শিলিগুড়িতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। একদিনে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। স্বাভাবতই এখন খাল, বিল, নালা জলে টইটম্বুর। শহরের নিচু এলাকায় এবং রাস্তার ভাঙা অংশেও বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে। আগস্ট মাস শুরু হতেই বৃষ্টি কার্যত উধাও। মাঝেমধ্যে আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টির তেমন দেখা নেই। বরং, সাতসকালেই তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ। দুপুর পর্যন্ত গ্রীষ্মকালের মতো কাঠফাটা রোদ থাকছে। সঙ্গে অসহ্য গরম। আবার কখনও কখনও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছে। এমন আবহাওয়ার জেরেই ঘরে ঘরে জ্বর দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও ডাক্তারের চেম্বারে রোগীরা ভিড় করছেন। সুভাষপল্লির বধূ সোমা সাহা বলেন, দু’দিন ধরে আমার পাঁচবছরের ছেলে জ্বরে ভুগছে। কিছুই খেতে চাইছে না। শক্তিগড়ের বাসিন্দা কমল মজুমদার বলেন, কয়েকদিন আগে বৃষ্টিতে ভেজার পরই শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছিল। তারপরই জ্বরে আক্রান্ত হই। সঙ্গে প্রচণ্ড গা, হাত-পা ব্যথা। এখন ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খেয়ে কিছুটা ভালো আছি। কলেজপাড়ার একটি আবাসনের বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর গরম পড়তেই জ্বর, সর্দি ও কাশি শুরু হয়। এতে ভয় পেয়ে গিয়ে সোয়াব টেস্ট করাই। সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। চারদিন পর সুস্থ হয়েছি। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, করোনার লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি। তাই জ্বর কিংবা সর্দি, কাশি হলেই ভয় বাড়ছে। মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে করোনার চোখরাঙানি অব্যাহত। শহরে করোনার ছোবলে মৃত্যু চলছে। আক্রান্তের সংখ্যাও দাবানলের মতো বাড়ছে। এই অবস্থায় জ্বর, পেটের অসুখ সহ নানা ধরনের রোগ দেখা দেওয়ায় সকলেই উদ্বিগ্ন। শহরের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুবল দত্ত বলেন, তিন-চার দিনের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যাথা ও খিঁচুনি নিয়ে আসা প্রায় ১৫০ জন শিশুর চিকিৎসা করেছি। আবহাওয়ার হেরফেরের জেরেই এমন জ্বর হচ্ছে। এটা এক ধরনের ভাইরাল ফিভার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন তথা প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, জ্বর, সর্দি ও কাশির কিছু রোগীর চিকিৎসা করেছি। দুই চিকিৎসকই বলেন, ভয়ের কিছু নেই।