বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার সুপার সাইক্লোন উম-পুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে মহানগরী কলকাতা। এখনও সেই তাণ্ডবের ক্ষত রাজধানী শহরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। জনবসতিপূর্ণ বেশকিছু এলাকায় এখনও গাছ ভেঙে পড়ে আছে। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার ছবিও একই রকম। এরজেরে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। তাই কলকাতা সহ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি পুনর্গঠনের কাজে উত্তরবঙ্গ থেকে বিশেষ দু’টি দল পাঠাল বনদপ্তর। দলের সদস্যরা মূলত ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ কেটে রাস্তা ও বসতি এলাকা পরিষ্কার করবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন শিলিগুড়ির কাছে সুকনা থেকে ২৫ জনের একটি দল এনবিএসটিসি’র বাসে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। ওই দলে দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ১০ জন, কার্শিয়াং ডিভিশনের পাঁচজন ও বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ১০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বনরক্ষী, আবার কেউ অস্থায়ী পদে কর্মরত। তাঁদের সঙ্গে ২০টি যন্ত্র চালিত করাত, দড়ি, কুড়াল সহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। এদিন সকালে সুকনা থেকে বাস ছাড়ার আগে তাঁদেরকে কাজকর্ম সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের সহকারী বন্যপ্রাণ আধিকারিক জয়ন্ত পাল, সুকনার রেঞ্জার মৃগাঙ্ক মাইতি, বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ প্রমুখ।
পরে দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের সহকারী বন্যপ্রাণ আধিকারিক বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই দল পাঠানো হল। কলকাতায় নেমে ওই দলের সদস্যরা প্রথমে মুখ্য বনপালের অফিসে যাবেন। সেখান থেকে তাদেরকে পুনর্গঠনের কাজে নিযুক্ত করা হবে।
শুধু সুকনা থেকে নয়, আরএকটি দল আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকেও কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই দলের সদস্য সংখ্যা ৩১ জন। আলিপুরদুয়ার থেকে বাসে করে তাঁরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সুকনা থেকে পাঠানো টিমোর মতো তাদের কাছেও গাছ কাটার সরঞ্জাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দু’দলে মোট সদস্য সংখ্যা ৫৬ জন। সংশ্লিষ্ট দলগুলিকে ছোট ছোট আরও পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে কলকাতাজুড়ে অভিযান চালাবে। প্রতিটি দলে থাকবে ১১ জন করে। কলকাতার অফিসাররা দলগুলিকে নেতৃত্ব দেবেন। কলকাতার যুবভারতীর ইয়ুথ হস্টেল সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করবেন দলের সদস্যরা। ওই দলের সদস্যদের এ ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অতীতে উত্তরবঙ্গে ঝড় সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ওই কর্মীদের অপারেশনে নামিয়ে সাফল্য মিলেছিল। তাঁরা গাছ কাটার পাশাপাশি, বিভিন্ন উদ্যানের ক্ষতিগ্রস্ত বন্যপ্রাণীদের সেবাও করবেন। এককথায় ঝড় পরবর্তীতে পুনর্গঠনের কাজে লাগানো হবে দলের সদস্যদের। এতে সেখানকার প্রশাসনের বাড়তি সুবিধা হবে বলেই আশা করছি।