বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ময়দানে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে প্রশাসন। লকডাউন লাগু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের অফিসে অবস্থিত ওই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে দু’জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন কর্মী রয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর পর্যন্ত কন্ট্রোল রুমে পাঁচটি ফোন কল আসে। কেউ সব্জি বোঝাই লরি এক জায়গা থেকে আরএক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চান। কৃষ্ণনগরে আটকে থাকা আত্মীয়কে এখানে আনার জন্য গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছেন একজন। কেউ আবার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেন। এরবাইরে কেউ কেউ মাস্ক ও গ্লাভসের জন্য সরাসরি কন্ট্রোল রুমে এসে দরবার করেন। গত ১০ দিনে এনিয়ে প্রায় ৩৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কাছে বিভিন্ন দাবিতে দিনে শতাধিক ফোন কল আসছে বলে জানা গিয়েছে।
মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, লকডাউন শুরুর প্রথমদিকে আশেপাশের জেলার ও ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা আটকে পড়ে ফোন করেন। তাঁদেরকে নিরাপদে বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর কেউ কেউ রান্নার গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছে, জোগাড় করতে পারছেন না বলে ফোন করেছেন। তাঁদেরকে তা জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ ফোন করে বলছেন, ঘরে বাজার নেই। বাজার করার মতো হাতে টাকাও নেই। তাঁদেরকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার জীবনদায়ী ওষুধের জন্য ফোন করেন। তাঁদেরকে তা জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে মিলছে সরকারি সুবিধা।
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো আমজনতার পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি।
এদিকে, করোনার বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে জয়লাভের জন্য প্রশাসন তৎপর হলেও মহকুমায় বাসিন্দাদের একাংশের হুঁশ ফেরেনি। তারা লকডাউনভঙ্গ করে হাট, বাজার করছেন। এদিনও শহরের ফুলেশ্বরী, টিকিয়াপাড়া, সুভাষপল্লি প্রভৃতি বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা সব্জি কেনেন। অনেকেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছেন। অনেকে অবাধে মোটর বাইক, স্কুটার নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলির সামনে জটলা লেগেই থাকছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বিগ্ন।
তাঁদের বক্তব্য, করোনা আতঙ্কের মেঘ ঘনীভূত হলেও কিছু মানুষের টনক নড়ছে না। তাদের বিরুদ্ধে পুলিস ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, শহরের কোথাও অহেতুক জটলা পাকাতে দেওয়া হচ্ছে না। বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।