কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ডালুবাবু এদিন বলেন, গৌড় এক্সপ্রেস চালু করেছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা মালদহের ভূমিপুত্র আবু বরকত আতাউল গনিখান চৌধুরি। শুরু থেকেই এই ট্রেনটি মালদহের কলকাতামুখী যাত্রীদের কাছে প্রথম পছন্দের ট্রেন হয়ে ওঠে। কিন্তু একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে যাত্রীদের ভিড়, অন্যদিকে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়েছে গৌড় এক্সপ্রেসের অবস্থা। যাত্রীরা
পাশাপাশি বরকত গনিখানের ভাইয়ের অভিযোগ, গৌড় এক্সপ্রেসে অনেকেই সংরক্ষিত আসন না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন। মালদহ থেকে অসংখ্য মানুষ কলকাতায় যান প্রতিদিন। যাতায়াতের জন্য তাঁদের প্রথম পছন্দ রেলপথই। তাই গৌড় এক্সপ্রেসের পরে রাত ১১টা নাগাদ মালদহ থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য একটি নতুন ট্রেন চালু করুক রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশন ভারতের তিনটি রাজ্যে বিস্তৃত। এর মধ্যে রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ। পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের অধীনস্থ বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্যদের নিয়ে এদিন রেল পরিষেবার হাল জানতে বৈঠকে বসেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। এই বৈঠকটি আরও কিছুদিন আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর প্রবল বিক্ষোভ ও ধবংসাত্মক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছিল সাময়িকভাবে। এদিন সেই বৈঠকটিই হয় মালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসে। মালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার যতেন্দ্র কুমারও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। সকাল ১১টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
ডালুবাবু এদিন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে ১০ দফা দাবিপত্র পেশ করেছেন। ডালুবাবু পরে বলেন, দক্ষিণ ভারতে মালদহ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসা করাতে যান। কিন্তু ট্রেনের টিকিট পাওয়াটা তাঁদের কাছে চরম সমস্যা তৈরি করে। তাই মালদহ থেকে দক্ষিণ ভারতমুখী একটি নতুন ট্রেন চালু করার কথা বিবেচনা করুক রেল কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে দার্জিলিং মেল ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদহ থেকে আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও দাবি তুলেছেন ডালুবাবু। তিনি বলেন, মালদহের মানুষ দিল্লি যেতে গিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের পরিষেবা পায় না। তাই যদি গুয়াহাটি রাজধানী ট্রেনটিকে মালদহের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
কংগ্রেস সংসদ সদস্য অবশ্য এদিন সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন গৌড় এক্সপ্রেস ও আরও একটি মালদহ–কলকাতা ট্রেন চালুর বিষয়টি নিয়ে। তিনি দাবি করেন, গৌড় এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণীর কামরাটিতে এখন হাতে গোনা কয়েকটি আসন রয়েছে। অবিলম্বে গৌড় এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণীর আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিও তোলেন ডালুবাবু।
মালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার বলেন, জেনারেল ম্যানেজার সমস্ত দাবিই মন দিয়ে শুনেছেন। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।