কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এব্যাপারে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা বাবলা সরকার বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমরা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছি। সেই বৈঠকেই আমরা আগামী বোর্ড মিটিংয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। এর আগে একবার বোর্ড মিটিং ডেকেও তা সফল করা যায়নি। তাই এবারের বৈঠক যাতে সফল হয় সেব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেব। ২০১৯-’২০সালের প্রায় দু’শো কোটি টাকার বাজেট আটকে রয়েছে। সেইসঙ্গে অনেক কাজও আটকে রয়েছে। সেই কাজগুলি দ্রুত করার জন্য বোর্ড মিটিং ডাকার প্রয়োজন রয়েছে।
এব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, সুষ্ঠুভাবে ওই চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক ও বোর্ড মিটিং যাতে সম্পন্ন হয়, সেদিকে জোর দেওয়া হবে। নাগরিকদের ঠিকঠাক পুর পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই মিটিং হওয়া জরুরি।
শহরের বিরোধী কাউন্সিলার সিপিএমের দুলালনন্দন চাকি বলেন, বোর্ড মিটিং কবে হবে তার কোনও নোটিশ আমি এখনও পাইনি। সেই বোর্ড মিটিংয়ে কি কি নিয়ে আলোচনা হবে, সেই অ্যাজেন্ডাও হাতে পাইনি। আগে সেসব দেখি তারপর এব্যাপারে মন্তব্য করব। অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী রণকৌশল ঠিক করব আমরা। আটঘাঁট বেঁধেই কাজ করা হবে।
আরও এক বিরোধী কাউন্সিলার বিজেপির সঞ্জয় শর্মা বলেন, পুরসভা জোর করে কিছু পাশ করাতে চাইলে কিন্তু আমরা বাধা দেব। কাউন্সিলারদের আগে থেকে না জানিয়ে কিছু পাশ করানো যাবে না। আগে প্রস্তাব পেশ করতে হবে, তারপর তা পাশ করা যাবে। আমরা সেই মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হঠাৎ পুরসভার এই বোর্ড মিটিং ডাকা নিয়ে এতো ব্যস্ততা কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংলিশবাজার পুরসভার এক কাউন্সিলার জানান, আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই পুরভোটের একটা হাওয়া কিন্তু উঠে গিয়েছে। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, এপ্রিল মাস নাগাদ হতে পারে পুরসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে মার্চ-এপ্রিল নাগাদ পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়ে গেলে কিন্তু আর কোনও কাজ করা যাবে না। তাই তার আগেই কাজ সেরে ফেলতে হবে। কাজ আটকে গেলে আবার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন শহরবাসীরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ এক বছর পর গত ২৪ ডিসেম্বর বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল ইংলিশবাজার পুরসভায়। সেদিন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলারদের হই হট্টগোলে বহু প্রতীক্ষিত সেই বোর্ড মিটিং ভেস্তে যায়। চেয়ারম্যানের ডাকা বোর্ড মিটিং বেআইনি বলে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলাররা তোপ দাগেন। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারও (বাবলা) বিক্ষুব্ধদের সুরে সুর মেলান। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চরম বাদানুবাদ চলার পর বৈঠক বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।