কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিয়াপাড়ার একটি বেসরকারি সংস্থার হিসাবরক্ষক আসাদুল রহমানের হাত ধরেই বাইনান অঞ্চলে তৃণমূলের জন্ম। পরবর্তী সময়ে টানা ১০ বছর অঞ্চল সভাপতি থাকলে মাসখানেক আগে বিভিন্ন কারণে তাঁকে পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে আবার পুরনো পদে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি তুলছিলেন গ্রামবাসীরা। তার আগেই মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
স্বামীর মৃত্যুর জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন স্ত্রী খোদেজা বিবি। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তিকে ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার জন্য টাকা দিলেও, সে সেই টাকা জমা না দেওয়ায় বলেছিল ভোরবেলা গেলে তার সঙ্গে দেখা হবে এবং সেইমত ভোরবেলা সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল ও। আর তারপরেই এই ঘটনা। তিনি অভিযোগ করেন, ভোরবেলা তাকে মোবাইলে ডেকে পাঠিয়ে খুন করা হয়েছে। এমনকী এর আগেও তাকে দল ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার হুমকি দিয়েছিল দলেরই লোকজন। স্ত্রীর অভিযোগ, বিষয়টা নিয়ে দলের নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলাম। ও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করতে পারবে না বলেই ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।
ভাই জাইদুলের অভিযোগ, দলের মিটিং আছে বলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। মেজদার কোনও শত্রু ছিল না। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এবং ফের সভাপতি হতে যাচ্ছেন, এটা জেনেই তাকে খুন করা হয়েছে। আসাদুলের বউদি রহিমা বেগম বলেন, পকেটের টাকা খরচ করে দল করেছে। আর তাকেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, দলের একাংশ টাকা চুরি করতে পারবে না বলেই তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। এমনকী মোবাইলের কল লিস্ট মুছে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। বিনা দোষে আমার দেওরকে কেন মারা হল, তার বিচার অবিলম্বে করতে হবে। এমনকী যারা এই কাজে যুক্ত, তাদের ফাঁসির দাবি করেন রহিমা বেগম।
যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছেন বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস হাজরা। তিনি বলেন, এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পুলিসের উচিত খুনিদের খুঁজে বের করা। এই প্রসঙ্গে আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিমুল আলমও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন আমিও চাই দোষীরা গ্রেপ্তার হোক।