কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
পুলিস অবরোধ তুলতে গেলে গণ্ডগোল লেগে যায়। সেসময় কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে সৌম্যজিৎবাবুর কপালে আঘাত লাগে। হাসপাতালের এক নিরাপত্তা রক্ষীও জখম হয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায়। খবর পেয়ে ডিএসপি (সদর) সমীর পাল, ডিএসপি ট্রাফিক চন্দন দাস সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। উত্তেজিত জনতাকে ছাত্রভঙ্গ করতে র্যা ফ নামানো হয়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সেসময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
কোচবিহারের ডিএসপি সমীর পাল বলেন, দুর্ঘটনায় জখম এক ছাত্র ওই হাসপাতালে ভর্ভি ছিল। এদিন তার মৃত্যু হয়। এরপরেই একদল ছাত্র পথ অবরোধ করে। কিছু বহিরাগত হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। আমাদের একটি গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। কোতোয়ালি থানার আইসির কপালে আঘাত লেগেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎবাবু বলেন, উত্তেজিত জনতা সাধারণের সম্পত্তি নষ্ট করছিল। পুলিস বাধা দেয়। সেসময় তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। আরও চার জন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন।
হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার বিক্রম বসু বলেন, ১১ জানুয়ারি ওই কিশোর মাথায় আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় আমরা বারবার রোগীর আত্মীয়দের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু আর্থিক কারণে পরিবার রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে অক্ষমতার কথা আমাদের জানিয়েছিল। এদিন সকালে রোগীর মৃত্যু হয়। তারপর ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করে। এরপর কিছু লোক তাতে যোগ দেয়। আমরা পুলিসকে খবর দিই। তারা সহায়তা করেছে। বেশ কয়েটি অ্যাম্বুলেন্স ও বাইক ভাঙচুর হয়েছে। ক্যান্টিন, হাসপাতাল বোর্ড, সিসিটিভ ক্যামেরা সহ অন্যান্য জায়গায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ জানাব। আমরা চাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হোক। না হলে আমরা পরিষেবা বন্ধ রাখব।
হাসপাতাল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে চকচকা হাইস্কুলের একদশ শ্রেণীর ওই ছাত্র পিকনিকে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনেই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিল। তারপর থেকে সে ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। এরপরেই পাশ্ববর্তী চকচকা হাইস্কুলের একাংশ ছাত্র জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়। এরমধ্যেই হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি থানার আইসি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁর উপরে চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। এরপর আরেক দফায় হাসপাতালের ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এতে অন্যান্য রোগী ও আত্মীয়রাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।