কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এরমধ্যেই দ্বিতীয় দফার কৃষক বন্ধু চেক এসে গিয়েছে। সেই চেক হাতে পেলেও এখনও প্রথম দফার চেকের টাকাই তো পাওয়া যায়নি। তাই দ্বিতীয় চেকের টাকা পেতে গিয়েও সমস্যা হবে কি না, তা নিগে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকার কৃষকরা। যদিও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা অধিকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে এব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গিয়েছে যে চাষিরা আদৌ প্রথম দফার চেকের টাকা পেয়েছেন কি না, সেকথা জানেই না ব্লক কৃষিদপ্তর। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক কৃষি আধিকারিক। কি কারণে কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা হলো, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি ব্যাঙ্ক ও কৃষিদপ্তর থেকে।
হরিরামপুরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজেশকুমার সিং বলেন, কোন কৃষকেরা চেক জমা দিয়ে টাকা পাননি, তা ওনারা ব্যাঙ্কে আসলে তবেই জানা যাবে। কৃষকেরা যদি টাকার জন্য ব্যাঙ্কে ঘুরতে থাকেন তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চেক জমা দিলে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা পাবেনই। চিন্তার কারণ নেই।
হরিরামপুর ব্লক কৃষি আধিকারিক তথাগত দাস বলেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের প্রথম কিস্তির চেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে ঘুরছেন টাকা পাচ্ছেন না এমন কোনও অভিযোগ তো আমরা পাইনি। তবে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
হরিরামপুর ব্লকের কৃষক ফসিউর রহমান বলেন, আমি ১১ সেপ্টেম্বর কৃষক বন্ধু প্রকল্পের চেক তুলেছি ব্লক কৃষিদপ্তর থেকে। তার দু’দিন পর হরিরামপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় চেক জমা দিয়েছি। এখনও টাকার জন্য ঘুরছি। ব্যাঙ্কে গেলে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা বলেন, চেকে ভুল রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন। এই কয়েকদিন করে করে এতোগুলি মাস পার হয়ে গিয়েছে। আবার দ্বিতীয় দফার কৃষক বন্ধুর চেক পেয়ে গিয়েছি। সেটাও জমা দিয়েছি। সেটার টাকাও যে কবে পাবো বুঝতে পারছি না। ব্যাঙ্ক ও কৃষিদপ্তরে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। টাকা না দিলে আমাদের কেন হয়রান করা হচ্ছে? আমাদের সোজাসুজি বলে দিক যে টাকা দেওয়া হবে না।
আরও এক কৃষক অসিমুদ্দিন সরকার বলেন, আমরা তো প্রায় পাঁচ মাস আগে চেক জমা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে আমাদের গ্রামের অনেকেই চেক জমা দিয়েছেন অন্য ব্যাঙ্কে। তাঁরা তো টাকা পেয়ে গিয়েছেন। আমাদের ব্যাঙ্কের খাতা রয়েছে হরিরামপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ওই ব্যাঙ্কে যাঁরা চেক জমা দিয়েছেন, তাঁদের এই সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের গ্রামের শতাধিক কৃষক ওই ব্যাঙ্কে চেক জমা দিয়ে এখন টাকা পাচ্ছেন না। এখন রবি ফসল লাগানোর সময়। কৃষক বন্ধুর টাকা পেলে আমরা চাষের কাজে লাগাতে পারতাম। সব কাজ ফেলে ব্যাঙ্কে টাকার জন্য ঘুরতে হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার চেক নেওয়ার সময় কৃষিদপ্তরে সব কথা জানানো হয়েছে।