Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরে লালবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। ওই রাতেই শুরু হল মানবাধিকার হরণ। রাজ্যপাল, উপদেষ্টাগণ, মুখ্যসচিব, পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল প্রভৃতিকে নিয়ে যে নতুন কর্তাব্যক্তির দল সেখানকার দায়িত্বে এলেন, ভারতের সংবিধানের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা যৎকিঞ্চিৎ।
গত ৪ আগস্ট কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা, ল্যান্ডলাইন সংযোগ প্রভৃতি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছিল মানুষের চলাফেরার উপরেও। গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ২৭২ নম্বর সাংবিধানিক আদেশ জারি করলেন এবং ভারতের সংবিধানের যাবতীয় ব্যবস্থা প্রস্তাবিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর বলবৎ করলেন। ওই একই দিনে জেলাশাসকরা ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলন এবং জনসমাবেশের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করলেন। শয়ে শয়ে রাজনৈতিক নেতা এবং কর্মীকে আটক করা হল। এমনকী আটক করা হল তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও। সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ‘চার্জ’ কিছু আনতে পারেনি। পরিতাপের বিষয় এই, তবুও এখনও তাঁদের হেপাজতে রাখা হয়েছে।
কাশ্মীর টাইমস-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন, কংগ্রেস এমপি গোলাম নবি আজাদ এবং অন্যরা সরকারের এই অন্যায় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছেন। আবেদনকারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে—এই বক্তব্য ছাড়াও, অনুরাধা ভাসিনের প্রতিবাদ এই কারণে যে, তিনি তাঁর সংবাদপত্র প্রকাশ করতে পারেননি এবং তাতে করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে রাজ্য সরকারকে বলেছে যে, ‘‘জাতীয় স্বার্থ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মনে রেখে কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’’ আশঙ্কামতোই, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সেখানে ফেরেনি। এরপর ১০ অক্টোবর কেন্দ্রের পেশ করা দাবি আদালতে এই মর্মে নথিভুক্ত হল যে—কিছু নিয়ন্ত্রণ ‘প্রত্যাহার’ করে নেওয়া হয়েছে। যাই হোক, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষে অবশ্যপালনীয় কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ না-থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরে, বিশেষভাবে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি যথাপূর্বই রয়ে গেল।
সওয়াল-জবাব
মামলাগুলি দিন কয়েক শোনা হল, ২৭ নভেম্বর রায়দান সংরক্ষিত রাখা হল এবং সেটা ঘোষণা করা হল গত ১০ জানুয়ারি।
সমস্যাটিকে আদালত মোট পাঁচটি বিষয়ে ভাগ করে দিল। তার সঙ্গে আদালতের দেওয়া উত্তরের উল্লেখযোগ্য অংশগুলি এখানে তুলে দিচ্ছি:
১. সরকার কি ১৪৪ ধারা জারি করার অর্ডার পেশ করা থেকে কোনও ছাড় দাবি করতে পারে? উত্তর: না।
২. বাকস্বাধীনতা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা চালানোর স্বাধীনতা কি মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হবে? উত্তর: হ্যাঁ, যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ১৯(১)(এ) এবং (জি) অনুসারে, এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার প্রতিটি নির্দেশ সাতদিনের ভিতরে পর্যালোচনা করতে হবে (এবং প্রত্যেক পর্যালোচনার সাতদিনের ভিতরে তা পুনরায় পর্যালোচনা করতে হবে)।
৩. ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়াটা কি একটি মৌলিক অধিকার? কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
৪. ধারা ১৪৪ প্রয়োগের নিয়ন্ত্রণগুলি কি বৈধ ছিল? উত্তর: ক্ষমতা হল প্রতিষেধক এবং নিবারক (প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড রেমিডিয়াল)—এটা মনে রেখে এবং সুসংগতির নীতি মেনে, অবশ্যই অধিকার ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে এমনভাবে নির্দেশ দিতে হবে। একই বয়ানের নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করা চলবে না। রাজ্য বা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে আদালতের আদেশ—‘‘নির্দেশগুলির কনটিন্যুয়েন্স বা স্থায়িত্বের কী প্রয়োজন, সেটা অবিলম্বে পর্যালোচনা করতে হবে।’’
৫. সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সত্যিই কি লঙ্ঘিত হয়েছিল? উত্তর: ‘চিলিং এফেক্ট’ নীতি পরীক্ষার পর, এবং সংবাদপত্রের প্রকাশ পুনরায় শুরু হয়েছে বিবেচনা করে আদালত বলেছে, ‘‘এই বিষয়ে আর প্রশ্রয় দেওয়া নয়, বরং বলব যে দায়িত্বশীল সরকারের কর্তব্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সবসময় মর্যাদা দেওয়া।’’
একটা সামঞ্জস্যের সন্ধান
আদালতের পর্যবেক্ষণ—এবং কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণ পেশে অনাগ্রহ—বিস্ময়কর ছিল না। রায়দানের একেবারে গোড়ার দিকে, আদালত তার মনোভাব পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে, ‘‘স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্যালান্স বা সামঞ্জস্য আমাদের পক্ষে খুঁজে পাওয়ার সুযোগটা সীমিত ... এখানে আমাদের ভূমিকা শুধু এটা নিশ্চিত করতে যে, তখনকার পরিস্থিতিতে সমস্ত ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা যতদূর সম্ভব নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে এবং সেইসঙ্গে নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’’
২০১৯-এর ৪ আগস্ট থেকে ২০২০-র ১৩ জানুয়ারির ভিতরে সরকার যখন তথাকথিত ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতি’ রক্ষা করছিল, তখনই কিন্তু ২০ জন সাধারণ মানুষ এবং ৩৬ জন জঙ্গি ও আটজন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, ‘‘সাময়িক নিরাপত্তা অর্জনের আশায় যাঁরা অপরিহার্য স্বাধীনতা ত্যাগ করেন, তাঁরা স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার কোনোটাই পাওয়ার যোগ্য নন।’’ প্রসঙ্গটি পৃথক; তা সত্ত্বেও, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যে দ্বন্দ্বের সময়ের জন্য উদ্ধৃতিটি ‘ক্লাসিক’ হয়ে ওঠে। আদালত যদি বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রবচনটিকে ‘গাইডিং প্রিন্সিপল’ হিসেবে মনে রাখত, তবে চূড়ান্ত রায়টা কি অন্যরকম হতো?
কিছু কি পাল্টাবে?
আদালতের রায় কাশ্মীর প্রশ্নে সরকারকে স্বৈরাচারী ও সেনানির্ভরতার নীতি থেকে সরে আসার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু, সরকার এই সুযোগ নেবে কি না আমার সংশয় রয়েছে। আদালতের রায়টি কাশ্মীর উপত্যকার ৭০ লক্ষ মানুষের মনে এই আশাও জাগিয়েছে যে তাদের স্বাধীনতার পুনরুদ্ধার হবে—যদিও আদালত রায়দানের সাতদিন পরেও সেসবের লক্ষণমাত্র নেই।
বিবাদি পক্ষ (রেসপনডেন্ট, এখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) অখুশি এই কারণে যে তাদের পদক্ষেপগুলির উপর সবসময় বিচারবিভাগের পর্যক্ষেণ চলবে। অন্যদিকে, বাদি পক্ষও (পিটিশনার) অখুশি—এই কারণে যে, বিচারের বাণী ছাড়া তাঁরা কোনও সুরাহা পাননি।
প্রাইভেসি মামলার (জাস্টিস পুত্তাস্বামী) মতো, আদালতের মাধ্যমে আরও কিছুটা করা যেত। একটা সুযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হতে পারে আরও কিছু করা হবে, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে (আপনি বাজি ধরতে পারেন যে আদালত অবমাননার একটি পদক্ষেপ করা হবে) অথবা পরবর্তী মামলার শুনানিতে। কিছু সময় আইন হতাশ করে।  
20th  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
একনজরে
 বিএনএ, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আরও একটি জুট মিল বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার সকালে টিটাগড়ের এম্পায়ার জুট মিল কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। এতে কাজ হারালেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। মিল বন্ধের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। ...

সংবাদদাতা, ইংলিশবাজার: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিয়ে প্রচারের হাতিয়ার এখন ছাত্র-যুব উৎসব। জনস্বার্থে রাজ্য সরকার যেসব কর্মসূচি নিয়েছে সেসব নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা। মালদহ জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়।  ...

 নয়াদিল্লি, ২১ জানুয়ারি (পিটিআই): শিরোমণি অকালি দল সরে গেলেও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে জেডিইউ। সোমবারই সেই ঘোষণা হয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ...

 রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ২১ জানুয়ারি (পিটিআই): শুধু ভারত নয়, বেকারত্ব বাড়ছে গোটা বিশ্বেই। এদেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিশ্বে বেকারদের সংখ্যা যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৬ টাকা ৭২.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.২৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৪ টাকা ৮০.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৩০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৪৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ত্রয়োদশী ৪৮/৩৬ রাত্রি ১/৪৯। মূলা ৪৪/৫৩ রাত্রি ১২/২০। সূ উ ৬/২২/৩৮, অ ৫/১৩/২৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে।
৭ মাঘ ১৪২৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ত্রয়োদশী ৮৯/২৭/৪৪ রাত্রী ২/১৩/৯। মূলা ৪৬/৪২/৪৪ রাত্রি ১/৭/৯। সূ উ ৬/২৬/৩, অ ৫/১১/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭/২৭ গতে ১০/২৮/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৩/৭/২৭ গতে ৪/৪৬/৪৫ মধ্যে।
 ২৬ জমাদিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: ব্যবসায় অর্থাগম হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগাযোগ ঘটবে। মিথুন: ব্যবসায় উন্নতি ও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ...বিশদ

07:03:20 PM

রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জবরদখল উচ্ছেদ, গায়ে আগুন লাগালেন মহিলা 
রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জবর দখল উচ্ছেদের চেষ্টা পুলিস ও প্রশাসনের। ...বিশদ

04:27:00 PM

কলকাতা বইমেলার জন্য শুরু হল অ্যাপ, রয়েছে স্টল খুঁজে পাওয়ার সুবিধাও 

04:13:45 PM

কৃষ্ণনগরে এনআরসি বিরোধিতায় শুরু হল মিছিল, রয়েছেন রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র 

04:02:00 PM

২০৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:58:42 PM