Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি। তাই দেশটা স্বাধীনতার পর থেকে পঙ্গু হয়েই রইল। দেশের উন্নতির থেকেও বড় চিন্তা, রাজনৈতিক নেতাদের কেউ কেউ কে কতটা আখের গুছিয়ে নেবেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কারও কারও সম্পত্তি দশ গুণ, কুড়ি গুণও বেড়ে যায়। অথচ সাধারণ মানুষের ঘরে খাবার নেই। আমাদের দেশের বহু বিধায়ক, সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন থেকে যায়। তাঁদের অনেকেই ক্রিমিনাল কেসে অভিযুক্ত। এখন তো দেখা যায়, যাঁর নামে যত ক্রিমিনাল কেস, তিনি যেন তত বড় নেতা। অনেকসময় রাষ্ট্রশক্তির তাঁরাই নিয়ন্ত্রক। তাই আইন তাঁদের ছুঁতে পারে না। অনেকেই সেই শক্তির জোরে ক্লিনচিটও পেয়ে যান।
স্বাধীনতার এতদিন পরে আজ আবার নতুন করে দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, মহাত্মা গান্ধী না নাথুরাম গডসে? কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, শ্যামাপ্রসাদ না সূর্য সেন? কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, সাভারকর না ভগৎ সিং? সব ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এসব প্রশ্নের মধ্যে আমাদের হৃদয়ে অনন্ত আলোর উৎস হিসেবে জেগে থাকেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি হলেন অন্য এক গ্রহ। অন্য এক মানুষ। অন্য এক মহামানব। সকলের থেকেই অনেক আলোকবর্ষ দূরে তাঁর অবস্থান। এমনকী তাঁর কাছে স্বাধীনতার ভাবনাটাই ছিল অন্যরকমের।
যাঁদের হাত ধরে আমাদের দেশে স্বাধীনতা এসেছে, তাঁদের কাছে স্বাধীন ভারত নিয়ে কোনও ভিশন ছিল না। স্বাধীনতার পর দেশকে কীভাবে গড়ে তোলা যায়, সে ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গী না থাকার কারণেই দেশ গড়ার কাজ একেবারে সূচনা লগ্ন থেকেই ব্যাহত হয়েছে। দেশভাগের কাঁটায় আজও আমরা বিদ্ধ হয়ে চলেছি। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মানুষের মুক্তিসাধনা এবং সাধারণতন্ত্রের লক্ষ্য ছিল মানুষের হাতে ক্ষমতা। ভোট দেওয়ার ক্ষমতাটুকু ছাড়া আমাদের দেশে সেই গণতন্ত্রের মূল্য আর কতটুকু! স্বাস্থ্যে, শিক্ষায়, ক্ষুধানিবৃত্তিতে সাধারণ মানুষ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠছে। সরকারি বিজ্ঞাপনের ঢক্কানিনাদে গণতন্ত্র আজ মুখ টিপে হাসে।
কিন্তু নেতাজির ছিল একটা নিজস্ব ভিশন। তিনি জানতেন, কীভাবে দেশগঠন করতে হয়। চারিদিকে ধূসর অন্ধকার আর রাজনৈতিক দূষণের মধ্যে তিনি আজও এক অকম্পিত প্রদীপ। নেতাজি বুঝেছিলেন, পৃথিবীর ইতিহাস বদলাচ্ছে। সেই পরিবর্তিত ইতিহাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে স্বাধীনতা সহজলভ্য হবে না। ১৯৩৯ সালে সেপ্টেম্বরে ইউরোপে শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেন তিনি।
নেতাজি জানতেন, বিশ্বযুদ্ধের আঁচে বিশ্বের প্রায় সব দেশই কমবেশি বিধ্বস্ত। যুদ্ধ শেষ হলেই প্রত্যেকেই নতুন করে শুরু করবে নিজেদের দেশগড়ার কাজ। যুদ্ধের জন্য ভেঙে পড়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। যুদ্ধের শেষে সব দেশই চাইবে নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে। নেতাজিও চেয়েছিলেন ভারত অর্থনীতির দিক থেকে কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠলেই অন্যান্য ক্ষেত্রে তাকে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে অগ্রগতির পরীক্ষায় নামাবেন। সারা বিশ্ব তখন এক আধুনিক বিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। সেখানে বিজ্ঞান এসে দাঁড়িয়েছে একেবারে সামনের সারিতে। তাই নতুন এবং স্বাধীন ভারত গড়ার ক্ষেত্রে তিনি প্রাধান্য দিতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানকে।
নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন ভারতে গড়ে উঠবে তার নিজস্ব অস্ত্র কারখানা। সামরিক শক্তিতে ভারতকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। এমন পরিকল্পনা করে নেতাজি দেখতে গেলেন চেকোস্লোভাকিয়ার দুটি অস্ত্রের কারখানা। সে দু’টি হল স্কোদা এবং ব্রেন। নেতাজির সঙ্গে তাঁদের মউ স্বাক্ষর হল। স্বাধীনতার পর নেতাজির উদ্যোগে অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা সাহায্য করবে। তিনি দেখতে গেলেন সিন্থেটিক বেঞ্জিনের কারখানা। তার নাম স্তালিন ওয়ার্কস। খনিজ তেলের দিক থেকে ভারত তেমন উন্নত নয়। তাই এ ব্যাপারেও নেতাজি উৎসাহ দেখালেন। এরপর তিনি জার্মানির কয়েকটি কলকারখানা পরিদর্শন করেন। স্বাধীন ভারতে শিল্পপ্রসার ঘটানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর দু’চোখে।
স্বাধীন ভারতে সেনাদের মেডেল কেমন হবে, তার পরিকল্পনাও করেছিলেন নেতাজি। শুধু পরিকল্পনাই নয়, ভিয়েনা থেকে তা তিনি তৈরিও করেছিলেন। মোট দশ রকমের মেডেল তৈরি করেছিলেন তিনি। এতেই বোঝা যায়, তখনকার নেতাদের থেকে ভাবনায় বা পরিকল্পনায় তিনি কত এগিয়ে ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, পোস্টাল স্ট্যাম্প কেমন হবে, পাসপোর্ট কেমন হবে। সেসবের নমুনাও তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন। এছাড়াও কেমন হবে ভারতের মুদ্রা, সে ব্যাপারেও তিনি ভেবেছিলেন।
জার্মানিতে থাকার সময় তাঁর হাতে আসে ভারতীয় অর্থনীতি ও কৃষি সংক্রান্ত কয়েকটি বই। এগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে প্রকাশিত। ভারতীয় কৃষি, অরণ্য, পশুপালন, বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও খনিজ সম্পদ
এবং শিল্প ও কৃষিতে ব্যবহৃত সম্পদ নিয়ে বইগুলি লেখা। এগুলি তাঁকে নতুনভাবে চিন্তা করতে
সাহায্য করেছিল। তিনি চেয়েছিলেন কৃষিক্ষেত্র,
অরণ্য সম্পদের ব্যবহার, পশুপালন ইত্যাদির উপর জোর দিতে।
এইসব রূপরেখা অঙ্কনের সময় তিনি জার্মানি, হল্যান্ড, ডেনমার্ক, রুমানিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া প্রভৃতি দেশের অনুসৃত নীতির ভালো দিকগুলিকে গ্রহণ করেছিলেন। ইউরোপের অর্থনীতি, সমাজনীতি, কৃষি এবং সামগ্রিক জীবনকে তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছিলেন। প্রত্যেকের ভালো দিকগুলিকে একত্রিত করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন স্বাধীন ভারতবর্ষকে।
তিনি শুধু অপেক্ষা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার জন্য। ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের নাগপাশ থেকে ভারত মুক্ত হলেই সেগুলি তিনি চালু করে দেবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংরেজরা ভারতকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য।
কিন্তু ইংরেজরা তখন খেলছিলেন অন্য খেলা। তাঁদের মধ্যে তখন ভারত ভাগের কৌশল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। জার্মানিতে বসে রেডিও এবং খবরের কাগজের মাধ্যমে তিনি সব খবরই পাচ্ছিলেন। দেশের মানুষকে পঙ্গু করে দিতে বিভাজন নিয়ে ভারতে উচ্চ পর্যায়ের সব আলোচনা চলছে। দেশের মধ্যেই একদল লোক এতে মদত দিচ্ছে। নেতাজি ছিলেন ভারতভাগের বিরোধী। তিনি মনে করতেন, জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে তার ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বিভাজন এক অপরাধমূলক কাজ। তিনি মনে করতেন, ভারত ভাগ মানে এক মায়ের দুই দুর্বল শিশু। তিনি মনে করতেন, ইংরেজরা যদি ভারত ভাগ করতে সক্ষম হয়, তবে সেটা হবে তাদের বড় রাজনৈতিক জয়। শুধু তাই নয়, ভেঙে যাবে জাতিগত, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক সংহতি। অথচ হাজার হাজার বছর ধরে সহস্র প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভারত তার অখণ্ডতা রক্ষা করতে পেরেছে। অখণ্ড ভারত প্রাচ্যের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র।
১৯৪০ সালের অক্টোবর মাসে জার্মানির বার্লিনে তিনি শুরু করেছিলেন ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার বা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগের কাজ। এর প্রথম বৈঠক বসে ১৯৪১ সালের ২ নভেম্বর। সেই বৈঠকে অনেকগুলি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল জাতীয় সঙ্গীত কী হবে। নেতাজি বললেন, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হবে ‘জনগণমন অধিনায়ক’। তার আগে পর্যন্ত সর্বজনস্বীকৃত কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। কিছু দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হতো। বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে বিদ্রোহ যখন সশস্ত্র আন্দোলনের পথে গেল, তখন থেকে কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সভা-অনুষ্ঠানে গাওয়া হতো মূলত ‘বন্দেমাতরম’।
‘জনগণমন’ নিয়ে বার্লিনের সভায় জোরদার বিতর্ক হয়। কয়েকজন এনিয়ে প্রশ্নও তোলেন। নেতাজি গানটির পক্ষে ক্ষুরধার সব যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপরই সকলে তা মেনে নেন।
১৯৪২ সালে হামবুর্গে ইন্দো-জার্মান কালচারাল সোসাইটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘জনগণমন’ গানটি পূর্ণ অর্কেস্ট্রা যোগে গাওয়া হল। সেই গানের গ্রামোফোন রেকর্ডও হয়েছিল। সেই প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা বিদেশের মাটিতে উড়ল। অন্য রাষ্ট্রের পতাকার পাশে সেদিন উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল ভারতের পতাকাকে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নেতারা। তাঁদের উপস্থিতিতে হামবুর্গের মেয়র নেতাজিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক নেতা হিসেবে অভ্যর্থনা জানান। নেতাজিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে হামবুর্গের মেয়র বলেন, ভারতকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাঁরা স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে হার্দিক ও মৈত্রীর সম্পর্ক তাঁরা বজায় রাখবেন। সরকারিভাবে সেদিনই নেতাজিকে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রনেতার সম্মান। ১৯৪২ সালের ২৯ মে জার্মানি ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল, আর সেটাই সত্যে পরিণত হল ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।
কিন্তু দুর্ভাগ্য! সেদিন দেশ নেতাজিকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পেল না। ইতিহাস চলে গেল অন্য পথে। নানারকম ভাগ-বাঁটোয়ারা আর আপসের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা এল, তা ছিল পঙ্গু স্বাধীনতা। আজ এতদিন পরেও সেই পঙ্গুত্বের লক্ষণগুলি ফুটে উঠেছে সমাজের সর্বাঙ্গে। তাঁর স্বপ্নকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা ‘যোদ্ধা’ নেতাজিকে চিনি, কিন্তু ‘স্বাধীন ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা’ নেতাজিকে চিনি না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
আজ দেশ আবার নতুন সঙ্কটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার কি মানুষে মানুষে বিভেদের বিষফণা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে? কীভাবে হবে তার মোকাবিলা? সেকথা বলবে সময়। আজ শুধু এই আঁধারপথে সেই সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলি, জয়তু নেতাজি, তোমাকে প্রণাম।
20th  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
একনজরে
 পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: মানবধর্ম সবথেকে বড় ধর্ম। আপনারা যদি মানুষকে সঠিকভাবে সেবা করতে পারেন, তাহলে এর থেকে বড় কাজ আর হবে না। মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়া ...

বিএনএ, বহরমপুর: কান্দিতে তৃণমূলের দক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নেতার অভাবে নতুন করে ঘর গোছাচ্ছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার ফের কান্দি এলাকার ৩০ জন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা এবং কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ২০১০ সাল থেকে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে ...

 বিএনএ, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আরও একটি জুট মিল বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার সকালে টিটাগড়ের এম্পায়ার জুট মিল কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। এতে কাজ হারালেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। মিল বন্ধের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। ...

সংবাদদাতা, ইংলিশবাজার: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিয়ে প্রচারের হাতিয়ার এখন ছাত্র-যুব উৎসব। জনস্বার্থে রাজ্য সরকার যেসব কর্মসূচি নিয়েছে সেসব নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা। মালদহ জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৬ টাকা ৭২.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.২৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৪ টাকা ৮০.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৩০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৪৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ত্রয়োদশী ৪৮/৩৬ রাত্রি ১/৪৯। মূলা ৪৪/৫৩ রাত্রি ১২/২০। সূ উ ৬/২২/৩৮, অ ৫/১৩/২৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে।
৭ মাঘ ১৪২৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ত্রয়োদশী ৮৯/২৭/৪৪ রাত্রী ২/১৩/৯। মূলা ৪৬/৪২/৪৪ রাত্রি ১/৭/৯। সূ উ ৬/২৬/৩, অ ৫/১১/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭/২৭ গতে ১০/২৮/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৩/৭/২৭ গতে ৪/৪৬/৪৫ মধ্যে।
 ২৬ জমাদিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: ব্যবসায় অর্থাগম হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগাযোগ ঘটবে। মিথুন: ব্যবসায় উন্নতি ও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ...বিশদ

07:03:20 PM

রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জবরদখল উচ্ছেদ, গায়ে আগুন লাগালেন মহিলা 
রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জবর দখল উচ্ছেদের চেষ্টা পুলিস ও প্রশাসনের। ...বিশদ

04:27:00 PM

কলকাতা বইমেলার জন্য শুরু হল অ্যাপ, রয়েছে স্টল খুঁজে পাওয়ার সুবিধাও 

04:13:45 PM

কৃষ্ণনগরে এনআরসি বিরোধিতায় শুরু হল মিছিল, রয়েছেন রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র 

04:02:00 PM

২০৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:58:42 PM