কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা দেশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেই এই কাজ হাতে নিয়েছি। সেইসঙ্গে রায়গঞ্জ শহরের নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা এই পতাকা লাগানোর কাজ যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব। মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি দূর করে সবাইকে দেশপ্রেমের এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার জন্য আমরা এই অভিনব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচের হিসেব ধরে আমরা এগোচ্ছি। এরপর খরচ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাত পর্যন্ত ওই পতাকা দেখার জন্য অত্যাধুনিক আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিল্লি থেকে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কারিগরেরা সমস্ত বিষয়টি নিরীক্ষণ করছেন।
পুরসভার বাস্তুকার অংশু ঘোষ মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যেই শহরের ঘড়িমোড় এলাকায় ১০৫ ফুট উঁচু স্তম্ভে জাতীয় পতাকা স্থাপন করার কাজ চলছে। সেই স্তম্ভের আগায় প্যারাশুট কাপড়ের তৈরি ২০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট চওড়া পতাকা লাগানো হবে। সন্ধ্যার পর যাতে বাসিন্দারা সেই পতাকা দেখতে পান, সেজন্য পতাকার মূল স্তম্ভের পাশে আরও দুটি লোহার স্তম্ভ বসিয়ে ওই এলাকায় এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
শহরের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি দেশ ভক্তির প্রমাণ দিতে বর্তমানে রায়গঞ্জ শহরের ঘড়ির মোড় এলাকায় জাতীয় পতাকা স্থাপন করার কাজ চলছে। সরকারি নিয়ম এবং নির্দেশ মেনে এই পতাকা খুব শীঘ্রই রায়গঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে উড়তে দেখা যাবে। পতাকাটি যে স্তম্ভে স্থাপন করা হবে তা সম্পূর্ণ জং প্রতিরোধক সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হবে। হায়দরাবাদ, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় এধরনের সুউচ্চ স্তম্ভে পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। এবার রায়গঞ্জ শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই পুরসভা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, শহরের মাঝে এমন একটি সুদৃশ্য পতাকা থাকলে তা যেকোনও শহরেরই গৌরব বাড়ায়। এছাড়াও এই পতাকার নিচে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠান যেমন সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস পালন সহ বিভিন্ন মনীষীদের জন্মদিন বা প্রয়াণ দিবস উদযাপন পালন করা সম্ভব হবে।