কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়ই কান্দি এলাকার শাসকদলের কর্মী এবং সমর্থকরা বহরমপুরে এসে কংগ্রেসের ঝান্ডা ধরায় নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়ছে। প্রণব হালদার নামে একজন নিজেকে তৃণমূলের কান্দি মহকুমার সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন, কান্দিতে পুরনো দিনের কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই। ২০১০ সালের আগে থেকে তৃণমূল করেছি। যাঁরা এখন তৃণমূলের হয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তখনও তাঁরা কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁরা পুরনোদের টার্গেট করে অপমান করছেন। তাঁরা নিজেদের না শুধরে নিলে আগামী দিনে আরও বড় ভাঙন ধরবে। এদিন আমার সঙ্গে ছাত্র এবং ল’সংগঠনের কয়েকজন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের কান্দি মহকুমার সভাপতি গৌতম রায় বলেন, যাঁরা কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, তাঁদেরকে কোনও দিনই তৃণমূল করতে দেখিনি। বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের সময়েও ওরা কংগ্রেসের হয়ে ভোট করেছে। তাই এতে দলের ক্ষতি হবে না।
তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, মুর্শিদাবাদের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী খড়্গপুরে উপনির্বাচনে ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন। কান্দিতেও তিনি তেমনই ভেল্কি দেখাবেন বলে দলের কর্মী এবং সমর্থকদের দৃঢ় বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুবাবু পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন। আগামী মাসে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ শহরে নাগরিক কনভেনশন করবেন। পরে অন্যান্য পুরসভাতেও একই কায়দাতে অভিযান শুরু করবেন।