গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খড়্গপুর আইআইটি ও শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা হয়। কোচবিহারের রাজ আমলের স্থাপত্য, দিঘি ইত্যাদি নিয়ে এর আগে সমীক্ষা হয়েছিল। সেগুলিকেও আগামী দিনে কিভাবে সাজিয়ে তোলা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সমস্ত কাজের জন্যই ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে তা পাঠানো হবে। এরপর টাকা এলে এই কাজগুলি পর্যায়ক্রমে করা হবে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজের রূপরেখা ঠিক করতে এদিন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শহর সৌন্দর্যায়ন করতে সাগরদিঘির চারপাশকে সাজিয়ে তোলা, শহরের সমস্ত ড্রেনকে ঢেকে দেওয়া, শালবাগানকে পর্যটক ও পিকনিকের জন্য সাজিয়ে তোলা সহ বহু বিষয় নিয়ে এদিন পর্যালোচনা হয়েছে। আগামীদিনে এই সমস্ত কাজের বিষয়ে ডিপিআর করে ওপর মহলে পাঠানো হবে। সেই খাতে টাকা এলে তা দিয়েই এই সব কাজ করা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র তথা কোচবিহার শহরের অন্যতম আর্কষণীয় স্থান সাগরদিঘির চারপাশের রাস্তাকে পেভার্স ব্লক দিয়ে মুড়ে ফেলা, সাগরদিঘির চারাপাশের বর্তমানে যে রেলিং রয়েছে সেটিকে তুলে সেখানে নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সাগরদিঘির চারপাশে প্রচুর পরিমাণে আলো লাগিয়ে জায়গাটিকে আর্কষণীয় করে তোলা হবে। সাগরদিঘির চারাপাশে যেসমস্ত ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে সেগুলিকে একটি লাইনে নিয়ে আসা হবে। যাতে পর্যটকরা এসে এখানে ভালোভাবে সব কিছু ঘুরে দেখতে পারেন তা দেখা হবে। কোচবিহার শহরের একপাশে থাকা শালবাগানের মধ্যে রয়েছে একটি জলাশয়। সেই জলাশয়ে আগামী দিনে বোটিং করা, জঙ্গলে হরিণ ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলাশাসকের দপ্তরের পিছনে তোর্সার ধারে প্রশাসনের হাতে থাকা জমিতে ইকোপার্ক গড়ে তোলার বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
কোচবিহার শহরের যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে কোচবিহার মহারাজাদের আমলের প্রচুর স্থাপত্য ও নির্দশন। যারমধ্যে কোচবিহার রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির সহ আরও বহু স্থাপত্য। পাশাপাশি রয়েছে বৈরাগী দিঘি, লম্বা দিঘি সহ আরও বহু দিঘি। এগুলিকেও কিভাবে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আগামী দিনে এই সমস্ত কিছুকেই সঠিকভাবে গড়ে তুললে কোচবিহার শহর হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। সেই সময়ে এখানে পর্যটকরা এলে যাতে দু’দিন থেকে ঘুরতে পারেন তারজন্যও একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।