গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পর্যটকদের ব্রেকফাস্টে দেওয়া হয় খাঁটি দুধের পায়েসের সঙ্গে মালপোয়া, পাটিসাপটা, তিলের নাড়ু ও কদমা। পর্যটকরা ভাবতেই পারছিলেন না যে বাড়ির বাইরেও যে বাঙালির চিরন্তন সেই সাবেকিয়ানার প্রথা পিঠেপুলির রসনা মিলবে।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাঙালির সাবেকিয়ানা ও চিরন্তন উৎসব প্রথার আনন্দের সময় বাইরের অথিতিরাও যেন বঞ্চিত না থাকে। তারই নির্দেশে মাদারিহাটে দপ্তরের ওই লজে পর্যটকদের এদিন পিঠেপুলির খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছিল।
পর্যটন দপ্তরের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন, বাইরে থেকে লজে যাঁরা আসেন তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি। বাঙালির অন্যতম সেরা পার্বণের রসনা থেকে বাইরের অতিথিদের তো আর বঞ্চিত করা যায় না। তাই বিনামূল্যে এই উদ্যোগ।
কলকাতার বাসিন্দা প্রত্যাশা সেনগুপ্ত এখন কাজের সূত্রে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে থাকেন। পর্যটন দপ্তরের এই আয়োজনে নস্টালজিক হয়ে পড়েন প্রত্যাশাদেবী। তিনি বলেন, জঙ্গলে সরকারি বাংলোয় পৌষ পার্বণের রসনা তৃপ্তির যে স্বাদ পাব তা কোনও দিন ভাবতে পারিনি। এই অভিজ্ঞতা মনে থাকবে।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের দম্পতি মৌনি সাহা ও স্বর্ণাভ সাহা বলেন, এই বছরের মকরসংক্রকান্তির সকালটা ভুলব না। জঙ্গলে বেড়াতে এসেও বন বাংলোতে যে পৌষপার্বণের পিঠেপুলির স্বাদ পাব তা ভাবতেও পারিনি।
মাদারিহাটে ওই সরকারি লজের অভিজ্ঞ শেফরাই পর্যটকদের জন্য পৌষপার্বণের পিঠে, পায়েস তৈরি করেন। চমক দিতে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই শেফদের জানিয়ে রেখেছিল পর্যটকরা যে ঘুণাক্ষরেও জানতে না পারেন তাঁদের জন্য পিঠে পুলি তৈরি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারে ব্রেকফার্স্টের টেবিলে পর্যটকদের চমকে দেওয়া হবে।
এদিন একটি সামাজিক সংগঠনের তরফে আলিপুরদুয়ার ম্যাক উইলিয়াম হাইস্কুলের উল্টো দিকে বক্সা ফিডার রোডের ধারে পিঠেপুলির প্রতিযোগিতা হয়। ওই প্রতিযোগিতার সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। এই উপলক্ষে সেখানে ৩১টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী পিঠেপুলির স্টল দেয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এদিন দুপুর থেকে শহরের মহিলারা নানা স্বদের পিঠে নিয়ে হাজির হন সেখানে।
উদ্যোক্তারা প্রতিযোগীদের পুরস্কার দিয়েছে। পিঠেপুলি প্রতিযোগিতার পর সেখানে রাতে বাউল গানের আসর বসে। ওই পিঠেপুলি আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শ্যামল রায় বলেন, বাঙালি তার নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি হারিয়ে ফেলতে বসেছে। বাঙালির সেই নিজস্ব ঘরানা ফিরিয়ে আনতেই এই প্রয়াস নেওয়া হয়।