বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর তৃণমূল কংগ্রেসের শুভাশিস পাল বলেন, হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কোনওরকমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলছে। আমাকে সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এলাকাবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন বালিহারা হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক নেই। আমি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছি। কালীপুজোর পর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বৈঠকে বিষয়টি তুলব। এভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা চলতে পারে না। গোকর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাতে অন্ততপক্ষে বহির্বিভাগ চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসনকে বলব। হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শৌভিক আলম বলেন, আমাদের গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। তিনি চিকিৎসকের ব্যবস্থা করবেন বলেছেন। আমরা হরিরামপুর হাসপাতালের রোগীদের জন্য যথেষ্ট পরিষেবা দিয়ে চলেছি। সাময়িক কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবুও আমাদের দিক থেকে পরিষেবায় ত্রুটি হতে দিচ্ছি না। গোকর্ণ ও বালিহারা প্রাথমিক হাসপাতালের কবে চিকিৎসক নিয়োগ করে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ছয় জন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা সেখানে দু’জন অতিরিক্ত মেডিক্যাল অফিসার ও একজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে কাজ চলছে। চিকিৎসকের অভাবে দু’টি ১০ বেডের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। গোকর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। রাতের অন্ধকারে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। হাসপাতাল নির্মাণ হয়ে পড়ে থাকায় দুষ্কৃতীরা দরজা, জানলা ভেঙে ফেলছে। এছাড়াও বালিহারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসদের জন্য তৈরি আবাসনেও রাতের অন্ধকারে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। আবাসনের দরজা, জানলা ভেঙে রাতে মদ জুয়ার আসর বসছে। এদিকে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। যদিও হরিরামপুরের বিএমওএইচ জানিয়েছেন গোকর্ণ ও বালিহারা হাসপাতালে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলার বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে।