বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অবশ্য, ট্রাম্প যে মতই পোষণ করুন না কেন, রায় নিয়ে তীব্র অসন্তোষ মার্কিন মুলুকের মহিলাদের মধ্যে। ‘৫০ বছর পিছিয়ে যাবেন না’ বা ‘আমার শরীর আমার অধিকার’ এই ধরনের পোস্টার হাতে মহিলারা বিক্ষোভে শামিল হন। শুধু দেশের অভ্যন্তরের নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার শাখার প্রধান মিশেল বাশলেও এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে এই রায় বিরাট আঘাত।
১৯৭৩ সালে রো বনাম ওয়েড মামলার প্রেক্ষিতে গর্ভপাতকে আইনসিদ্ধ করেছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। অর্ধশতাব্দী পর শুক্রবার শীর্ষ আদালত নিজের রায়কেই খারিজ করে দেয়। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার খারিজ করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন ছ’জন বিচারক আর বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। এই রায়ের বলে বলীয়ান হয়ে মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন রাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে যে যে দেশে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ সেই সব দেশে গিয়ে মার্কিন মহিলারা গর্ভপাত করাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক মার্কিন সংস্থাই তাদের মহিলা কর্মীদের অন্য দেশে গিয়ে গর্ভপাত করানোর বিষয়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে।
এদিকে, আমেরিকায় গর্ভপাতের অধিকার খারিজ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই উঠে আসছে এক দশক পুরনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত দন্ত চিকিৎসক সবিতা হালাপ্পানাভার মৃত্যুর স্মৃতি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের গালওয়ে। এই চিকিৎসক ছিলেন ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। প্রবল পিঠের যন্ত্রণা নিয়ে গালওয়ে ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসকরা বলেন, সবিতার মিসক্যারেজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গর্ভে থাকা ভ্রূণটির তখনও হৃদস্পন্দন রয়েছে। আয়ারল্যান্ড ক্যাথলিক দেশ হওয়ায় সেখানে জীবন্ত ভ্রূণ থাকা অবস্থায় গর্ভপাত করানো ছিল আইন বিরুদ্ধ। ফলে সবিতার গর্ভপাত করানো যায়নি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। মার্কিন মুলুকের বিতর্কের মধ্যেই ফের একবার সবিতা স্মৃতি টাটকা হয়ে উঠেছে।