বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অষ্ট্রেলিয়ার গবেষক দলটি পশুপাখির উপর উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা চালায়। তাদের সমীক্ষায় ধরা পড়ে, অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কিছু বদল এলেও পরিবেশের তাপমাত্রার তারতম্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পাখিদের উপর। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন পাখিদের জীবনযাত্রা, বাসস্থান, প্রজনন প্রভৃতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু উষ্ণায়নের প্রভাবে সরাসরি পাখিদের দৈহিক আকার বদলে যাওয়ার বিষয়টিকে মোটেই হাল্কাভাবে নিতে নারাজ অষ্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। ‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, তাঁদের চোখে ধরা পড়েছে অষ্ট্রেলিয়ান টিয়ার চঞ্চু অর্থাৎ ঠোঁট বড় হয়ে যাচ্ছে। ১৮৭১ সাল থেকে হিসেব করলে এ পর্যন্ত ওই প্রজাতির টিয়ার ঠোঁটের আকার ৪ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত লম্বা হয়েছে। যা উষ্ণায়নের প্রভাব বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে পাখিদের দেহ কেন ছোট হয়ে যাচ্ছে, গবেষণায় তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে গবেষকদের ধারণা, পাখিরা মূলত ঠোঁট, কান, পা ও পাখনাকে কাজে লাগিয়ে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। সেকারণেই পরিবেশের তাপমাত্রা বদলে পাখিদের মধ্যে এইসব অঙ্গপ্রতঙ্গের পরিবর্তন ঘটছে। বিজ্ঞানী দলের প্রধান সারা রাইডিং বলেছেন, পরিবেশের তাপমাত্রার বদলের জেরে পাখিদের উপর যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, তা তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে পাখিরা কীভাবে শেষপর্যন্ত মোকাবিলা করবে, তা জানা নেই তাঁদের।
এদিকে, মার্কিন গবেষণাতেও একইরকম চিত্র ধরা পড়েছে। সেখানে ৫২ প্রজাতির ৭০ হাজার ৭১৬টি পরিযায়ী পাখির গবেষণা চালানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে, গত চার দশক ধরে তাদের দেহের আকার ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের পাখনা বড় হচ্ছে। আমেরিকার শিকাগো শহরের উপর দিয়ে ওই পাখিরা যখন উড়ে যাচ্ছিল, বহুতলের ধাক্কায় অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। মৃত পাখিদের নমুনা সংগ্রহ করে স্থানীয় মিউজিয়ামে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়েই নানা গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হয়তো ঝড়-বৃষ্টির কারণে আকাশের অনেকটা নীচে দিয়ে উড়ছিল পাখিরা। আর তাতেই বহুতলে ধাক্কা লেগে মারা গিয়েছে তারা।
এই রেড রাম্পড প্যারোটের ঠোঁট লম্বা হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।