বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আর সেই জন্যই রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাঁড়িয়ে শুক্রবার ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, ভারত স্বাভাবিক কারণেই উদ্বিগ্ন। তালিবান সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী নিষিদ্ধ দুই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর ই তোইবা এবং জয়েশ ই মহম্মদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে তারা। প্রসঙ্গত ভারতের সভাপতিত্বে নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান নিয়ে একটি কড়া প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। শুক্রবার সেই প্রস্তাবটির কথা স্মরণ করিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেছেন, বর্তমান সরকার যেন ওই প্রস্তাব অনুযায়ী কোনওভাবেই কাবুলের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হিসেবে ব্যবহার করতে না দেয়। ভারত আরও বলেছে, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে অবাধে বিদেশে যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে। কাবুলের পালাবদল নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই প্রথম ভারত কঠোর বার্তা দিয়েছে। ভারত বলেছে, আফগানিস্তানের মহিলাদের দাবি ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ কী, সেটাও স্থির করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের এই আচমকা কড়া অবস্থানের ঠিক প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার ব্রিকস গোষ্ঠীর বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অবস্থান এবং শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টে জি জিনপিংয়ের ফোনে আলাপচারিতার পরোক্ষ সম্পর্ক আছে বলেই কূটনৈতিক মহল মনে করছে। বৃহস্পতিবার ব্রিকস গোষ্ঠীর বৈঠকে সভাপত্বি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিকস গোষ্ঠীর পাঁচ সদস্য হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান এবং চীনের মতোই রাশিয়া সম্প্রতি তালিবান সরকারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক কাজ করতে সম্মতি জানানোর পরই ভারত কিছুটা সংশয়ে পড়েছে। কিন্তু শুক্রবার পুতিন বলেছেন, আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে। সেখানে এখনও পরিস্থিতি স্পষ্ট নয়। কাবুলে শপথ অনুষ্ঠানেও রাশিয়া অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছে। তাই আগামী দিনে আফগানিস্তানের ঘটনা বাকি বিশ্বের উপর কী প্রভাব ফেলে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। একই সুরে আফগানিস্তান নিয়ে সতর্ক করেন মোদি। এই দুই মন্তব্যই ব্রিকস বৈঠকে শুনেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তারপরই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তালিবান শাসন নিয়ে উদ্বেগ এবং সতর্কতার কথা সরাসরি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আফগানবাসীর এই সঙ্কটের সময় আন্তর্জাতিক মহলের উচিত একজোট হওয়া।
তালিবান শাসনের বিরোধিতা করে দিল্লির রাস্তায় শিশু। ছবি: পিটিআই