রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন: চলতি মাসে একদিনের জন্য ভারত সফরে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রাথমিকভাবে চারদিনের জন্য ভারতে আসার কথা থাকলেও, করোনার জন্য সফর কাটছাঁট করে একদিন হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দিয়েছে জনসন প্রশাসন। তাই তাঁর দিল্লি সফরের দিকে তাকিয়ে গোটা ব্রিটেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর এই ভারত সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ব্রিটেনের প্রথম সারির এক বৈজ্ঞানিক। প্রফেসর ক্রিস্টিনা পজেলের আশঙ্কা, করোনার নতুন স্ট্রেইন ভারত থেকে ব্রিটেনে আনার ঝুঁকি নিচ্ছেন জনসন। জানুয়ারি মাসে ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসে জনসনের প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল। ব্রিটেনে লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁর ভারত সফর স্থগিত করা হয়। কথা ছিল তাঁর এইবারের সফরে ৪ দিনে মুম্বই, পুনে, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই যাওয়ার। ব্রিটেন থেকে সাংবাদিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদেরও নিয়ে আসার কথা ছিল জনসনের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শুধু দিল্লিতে ২৬ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ২৫ এপ্রিল রাতে তিনি দিল্লিতে নামবেন। করোনা পরীক্ষার পর পরদিন বৈঠক করে ফিরবেন লন্ডন।
প্রফেসর ক্রিস্টিনা পজেল বলেন বাণিজ্যিক স্বার্থের থেকেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করোনা সংক্রান্ত আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেওয়ার উচিত। দিল্লি সহ গোটা দেশে করোনার বি.১.৬১৭ স্ট্রেইন ভ্রুকুটি দেখাতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে তিনি আরও বলেন, ‘এই স্ট্রেইন দ্রুত মিউটেশনের ক্ষমতা রাখে। সেই মিউটেশন আবার করোনার অ্যান্টিবডিকে এড়িয়ে চলতে পারে। এমনকী টি সেলকেও এড়ানোর ক্ষমতা রাখে।’ ইতিমধ্যে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর সব বিদেশ সফরের মতো, ভারত সফরেও সংশ্লিষ্ট সকলের করোনার সুরাক্ষাবিধি মেনে চলা হবে।’ তবে এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না ক্রিস্টিনা। তিনি বলেন, ‘যদি একটি স্ট্রেইনকে বিদেশ থেকে আমদানির পথ সুগম করা হয়, তবে তা হবে বিপজ্জনক। কেননা এটি অজান্তেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’