ওয়াশিংটন: ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় এবার মৃত্যু হল এক পুলিস আধিকারি ব্রায়ান ডি সিকনিকের। বুধবার রাতে হিংসার ঘটনায় ওই আধিকারিক জখম হয়েছিলেন। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনি মারা যান। ক্যাপিটল পুলিসের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। এদিকে গোটা ঘটনার পিছনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মদত ছিল বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন বিচার বিভাগ ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। মার্কিন অ্যাটর্নি মাইকেল শারউইন বলেন, ‘যাঁরা ওই বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিলেন শুধু তাঁরাই নন। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছেন, তার দিকেও আমাদের নজর রয়েছে। যদি কোনও প্রমাণ মেলে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বৃহস্পতিবারই ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় সমর্থকদের নিন্দা করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বার্তা, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ভাবী প্রেসিডেন্টের হাতে যাতে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, সেটা নিশ্চিত করাই সবথেকে আগে দরকার। ক্যাপিটল হিলে যা ঘটেছে, তা আমেরিকার প্রকৃত রূপ নয়। নয়া প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এহেন ঘটনা কাম্য নয়। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, ‘সব আমেরিকানদের মতো আমিও ওই হিংসা ও বেআইনি আচরণে অসন্তুষ্ট।’
যদিও হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গোটা ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে ট্রাম্পের উপরই দোষ চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, এহেন ঘটনা ঘটিয়ে ট্রাম্প গণতন্ত্রকে অসম্মান করেছেন। মার্কিন ইতিহাসে ক্যাপিটল হিল কাণ্ড কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। বাইডেন বলেন, ‘তাঁরা কোনও প্রতিবাদী ছিলেন না। তাঁদের উন্মত্ত জনতা বা জঙ্গি বলেও উল্লেখ করা যেতে পারে।’