বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জর্জের বাড়ির ঠিক পাশেই থাকেন আলবের্তো। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। পড়শি হওয়ার সুবাদে জর্জের স্ত্রী পামেলার সঙ্গে প্রথমে আলাপ। পরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করা সম্পূর্ণ বারণ! পই পই করে এমনটাই নাকি বলে দিয়েছিলেন প্রেমিকা পামেলা। পাছে জর্জের চোখে পড়ে যায়! তা হলে উপায়? প্রেমিকার বেডরুমে পৌঁছতে আস্ত একটা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেলেছিলেন প্রেমিক আলবের্তো। নিজের বাড়ি থেকে সোজা গিয়ে সেই সুড়ঙ্গ উঠেছে জর্জের অন্দরমহলে। সবার চোখ এড়িয়ে প্রেমিকার কাছে যাতায়াত, সময় কাটানো। বেশ কয়েকদিন ধরে দিব্যি চলছিল এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। সেদিন অফিস থেকে জর্জ যে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি আলবের্তো। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তিনি। স্ত্রী পামেলার সঙ্গে আলবের্তোকে দেখে চক্ষুচড়কগাছ জর্জের। তবে তাঁর বিষ্ময়ের ঘোর এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। জর্জের চোখকে ফাঁকি দিতে স্ত্রীর প্রেমিক লুকিয়ে পড়েছিলেন একটি সোফার পিছনে। সেখান থেকে তাঁকে টেনে বের করতে গিয়ে সন্ধান মেলে সেই সুড়ঙ্গের।
সুড়ঙ্গ বানানোর আঁটঘাঁট বেশ ভালোই জানা ছিল আলবের্তোর। পুলিস জানিয়েছে, নির্মাণকাজে দক্ষ শ্রমিক তিনি। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়েছে। জর্জ কাজে বেরিয়ে গেলেই গোপন পথ ধরে পামেলার কাছে চলে আসতেন আলবের্তো। ঘটনার দিন সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে জর্জ সোজা পৌঁছে যান আলবের্তোর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে ফের আরও এক নাটকের মুখোমুখি হন তিনি। আলবের্তোও বিবাহিত। স্ত্রীকে কিছু না জানানোর জন্য জর্জকে করজোড়ে অনুরোধ করেন তিনি। তবে নাছোড় ছিলেন জর্জ। অভিযুক্তের স্ত্রীকে সব কিছু খুলে বলেন তিনি । আর তখনই দু’জনের হাতাহাতি বেঁধে যায়। অবশেষে পুলিস এসে দু’জনকে থামায়।
আলবের্তো-পামেলার এই প্রেম আর পাঁচটি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের মতোই। কিন্তু প্রেমিকার সান্নিধ্য পেতে আস্ত একটা সুড়ঙ্গ বানিয়ে ফেলা! এমন নজির বোধহয় বিশ্বে খুব একটা নেই। ফলে সুড়ঙ্গের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা লুফে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল হয়ে ঘুরছে বিভিন্ন সাইটে। নেট নাগরিকদের কেউ কেউ মনে করিয়ে দিচ্ছেন—প্রেম আছে বলে পৃথিবী এত বৈচিত্রময়!