বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চুক্তির পোশাকি নাম ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ’। সংক্ষেপে আরসিইপি। নতুন এই জোটের অর্থনীতির আয়তন বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। ফলে এই চুক্তি বিশ্বের সবথেকে বড় অবাধ বাণিজ্য এলাকা তৈরি করবে। আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল রয়েছে তার থেকে বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও এশিয়ার নতুন এই বাণিজ্য অঞ্চলের এলাকা বড় হবে।
আসিয়ান জোটের ১০টি দেশ ছাড়াও এই চুক্তিতে সই করছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে, যোগ দেয়নি আমেরিকা। এ প্রসঙ্গে এবারের আসিয়ান বৈঠকের আয়োজক দেশ ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী গুয়েন জুয়ান ফুক বলেন, ‘আট বছরের কঠোর পরিশ্রম শেষে আরসিইপি চুক্তি সই করতে আমরা সহমত হয়েছি।’ মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী মহম্মদ আজমিন আলি বলেছেন, ‘গত আট বছর ধরে রক্ত, ঘাম আর চোখের জল ঝরিয়ে রবিবার আরসিইপি স্বাক্ষরের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছি।’ আর তাদের নেতৃত্বাধীন বিশ্বের বৃহত্তম চুক্তি প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং বলেছেন, ‘চীন এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার এবং এই বাজার আরও বড় হবে।’
২০১২ সালে প্রথম এই চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারপর আট বছর ধরে চীনের প্রবল উৎসাহ ও উদ্যোগে এটির বাস্তবায়ন হল। এই চুক্তির ফলে কী হবে? এই চুক্তির ফলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে জোট এলাকায় একে একে অধিকাংশ আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক উঠে যাবে। কোনও সদস্য দেশ যদি তাদের উৎপাদিত পণ্যে অন্য কোনও দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে তাহলে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থাকলেও তাদের আমদানি শুল্ক দিতে হয়। তবে আরসিইপি চুক্তিতে সদস্য দেশগুলি থেকে যন্ত্রাংশ কিনলে রপ্তানিতে কোনও সমস্যা হবে না। সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, কোন দেশে থেকে পণ্য আসছে তার নয়া সংজ্ঞা তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারী পরবর্তী আসিয়ান সদস্য দেশগুলি ব্যাপক আর্থিক চাপে পড়েছে। আর তা থেকে বেরিয়ে আসতেই তারা চুক্তি সই করেছে। বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশ জানিয়েছে, নতুন চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে এশিয়ায় বাণিজ্যের নীতি নিয়ন্ত্রণ করবে চীন। বহু সংবাদমাধ্যম এই চুক্তিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেছে।