বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত বছর নেপাল থেকে ১০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করে সেদেশের পুলিস। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, কাতার, দুবাই, ওমান থেকে ওই টাকা এসেছে বলে স্বীকার করে ধৃতেরা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফের নেপালে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের জালনোট বাজেয়াপ্ত হয়। সেবারেও পুলিসের হাতে ধরা পড়ে দুই ব্যক্তি। তাঁদেরই একজনকে জেরা করে পাক গুপ্তচর সংস্থার পুরো ছকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগও সামনে আসে। জানা যায়, কুয়েত থেকে এসেছে এই জাল টাকা। সেখানে তা আনা হয়েছে পাইলটের মাধ্যমে। যাবতীয় তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গোয়েন্দারা। আটক করা হয় পাক বিমান সংস্থার ওই পাইলটকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে জানায়, ওই সিল করা প্যাকেটে জালনোট থাকার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। প্যাকেটটি না খুলেই এক ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছিল ওই পাইলট।
পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, বিমান সংস্থার কর্মীদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কারখানা থেকে জালনোট নিয়ে আসছে আইএসআই। পাকিস্তান থেকে দুবাই, ওমান ও কাতারে প্রতিদিন অসংখ্য বিমান যাতায়াত করে। সেই সব বিমানের পাইলটদের মাধ্যমেই জালনোট যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে। এমনকী, পাকিস্তান থেকে যে বিমানগুলি নেপাল ছুঁয়ে অন্য দেশে যায়, তাতেও আসছে জাল ভারতীয় টাকা। আন্তর্জাতিক উড়ানের পাইলটরা অবতরণের পর আলাদা ‘ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল’ দিয়ে যাতায়াত করেন। বিমানবন্দরে ঢোকা-বেরোনোর সময় তাদের কোনও ধরনের তল্লাশি হয় না। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে আইএসআই। লাগেজের মধ্যে সিল করা প্যাকেটে নিয়ে হোটেল বা গেস্টহাউসে বিশ্রাম নিতে যাচ্ছে পাইলটরা। সেখানেই প্যাকেট সংগ্রহ করে ঘুরপথে তা পৌঁছচ্ছে নেপালে। এই কাজে জড়িত পাক বিমান কর্মীদের নাম জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। যাতে তাদের ‘পিনপয়েন্ট’ করে অন্য দেশের হাতে তথ্য তুলে দেওয়া যায়। তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি জালনোট উদ্ধারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর এই সূত্র ধরে পাকিস্তানকেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করা সম্ভব হবে।