ওয়াশিংটন: জঙ্গি দমন ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধে ভালো কাজের জন্য মোদি সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিল মার্কিন বিদেশ দপ্তর। বুধবার দপ্তরের তরফে প্রকাশিত ২০১৯ সালের সন্ত্রাস বিষয়ক রিপোর্টে বিগত বছরে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া কিছু রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার খতিয়ান পেশ করা হয়। সেখানেই ভারতের প্রসঙ্গে রিপোর্টে উঠে আসে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা থেকে শুরু করে ১ মে মহারাষ্ট্রে মাওবাদী হানার ঘটনা। যদিও, রিপোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের শক্ত হাতে সন্ত্রাস দমনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি ও জুনের মাঝামাঝি সময়ে জেএমবি ও ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রায় ন’জন সক্রিয় সদস্য নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। সেই সূত্রে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) প্রশংসা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে ভারত সহ পড়শি দেশগুলিতে জঙ্গিহানা রুখতে এই সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও রিপোর্টে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস দমনে ভারত ও আমেরিকা একযোগে কাজ শুরু করেছে। একদিকে মার্কিন সহায়তায় ভারত তার সীমান্ত সুরক্ষার ভিত মজবুত করেছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে ভারত নিরন্তর আমেরিকার পাশে থাকছে।
তবে, জঙ্গিদমনে প্রশংসা পেলেও নারী ও শিশুপাচার রুখতে নয়াদিল্লির ব্যর্থতার কথাই উঠে এসেছে রিপোর্টে। বিশেষত, সন্ত্রাস কবলিত জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নাবালকদের জোর করে কাজ লাগানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাদ যায়নি মাওবাদীরাও। পাশাপাশি সারা দেশে নারীপাচার চক্রের রমরমার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে।