বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সরকারিভাবে প্রথম নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। ওই রোগী থেকে এক লক্ষ রোগীতে এই রোগ ছড়াতে নোভেল ভাইরাস সময় নিয়েছিল ৬৭ দিন—দু’মাসের একটু বেশি। ৫ মার্চ এক লাখ মানুষের শরীরে পৌঁছে গিয়েছিল করোনা। চেহারা নিল মহামারীর। এক লক্ষ থেকে দু’ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগল তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ—মাত্র ১৩ দিন। ১৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দু’লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২১ মার্চ সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা পৌঁছে যায় তিন লাখে। আগেরবারের তুলনায় চারভাগের এক ভাগ সময়ে। মাত্র ৩ দিনে। তিন থেকে চার লক্ষ মানুষের মধ্যে এই বিপজ্জনক সংক্রমণ ছড়ায় ওই একই সময়ে। ২৪ মার্চ করোনা প্যানডেমিক-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয় চার লাখ। চার থেকে পাঁচ লাখের গণ্ডী পেরতে সময় লাগে মাত্র দু’দিন। রোগীর সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় লক্ষে পৌঁছয় ওই একই সময়ে—২৮ মার্চ। এরপর ২৯ মার্চ পৃথিবীর মহামারীর ইতিহাসে বহু রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় আরও এক লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করে এই ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় সাত লাখে। সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোভিড ১৯ আক্রান্ত করেছে বিশ্বের ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৬৯ জনকে। মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার!
এ বিষয়ে পিজি’র ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং করোনা টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ আশুতোষ ঘোষ বলেন, এত বছরের ডাক্তারি জীবনে আমি কখনও এমন ঘটনা শুনিনি। সত্যিই এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি যতই দেখছি, ততই আশ্চর্য হচ্ছি। পৃথিবীতে ইতিহাসে এমন সংক্রামক ভাইরাস কমই আছে। সর্বভারতীয় আইএমএ’র করোনা বিষয়ক রিসোর্স পার্সন ডাঃ কে কে আগরওয়াল বলেন, আসলে করোনা কিছু ‘হট স্পট’ খোঁজে। সেখানে সংক্রমণ শুরু হলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মহামারীর ইতিহাসে প্লেগ ও স্প্যানিশ ফ্লুও বাদ দেওয়া যায় না। দুটিই ছিল ভয়ঙ্কর সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিমবঙ্গের কো-অর্ডিনেটর ডাঃ প্রীতম রায় বলেন, করোনা তাও তো সময় নেয়। কলেরা মহামারী হতে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় নেয়নি। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে গিয়েছে। আসলে যে কোনও মহামারীর চরিত্র একইরকম।