বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির পর্যবেক্ষণ বলছে, অধিকাংশ বিরোধী দল ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরও একটি গণভোট করার পক্ষপাতী। যদি প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন, তাহলে নতুন সরকার প্রথমেই ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে গণভোট করবে। ব্রিটেনের ৫০টি আসনে গতবার সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিল লেবার পার্টি। এর মধ্যে ৩৯টিই ২০১৬ সালে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তবে এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব ওয়েলস, দ্য মিডল্যান্ডস এবং নর্থ অব ইংল্যান্ড এবার লেবার পার্টির দূর্গ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশপ অকল্যান্ড, ওয়ার্কিংটন, রেক্সহ্যাম আসনগুলিতে বরিসের দল গতবার না জিতলেও এবার সেখানে তাঁদের সমর্থক বেড়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ব্রেক্সিট বিরোধীদের মধ্যে কনজারভেটিভদের সমর্থন কমেছে। তবে ব্রেক্সিটপন্থী এলাকায় সমর্থন অনেকটাই বেড়েছে। অতএব সেখানে তারা ভালো ফল করতে পারে। লেবারদের দূর্গের পতন হবে কি না, তাই এখন দেখার।
আগামীকাল যদি লেবারদের পক্ষে ভালো যায়, তাহলে বেশ কিছু প্রান্তিক আসন কনজারভেটিভ এবং এসএনপিদের থেকে ছিনিয়ে আনতে পারবে তারা। অন্যদিকে, লিবারাল ডেমোক্র্যাটরা এবার অন্যান্য দল ছেড়ে আসা অনেক এমপিকে প্রার্থী করেছে। সমীক্ষা বলছে, তাদের জনসমর্থন কমেছে। ব্রেক্সিট বিরোধী হওয়ায় লিবারালরা তেমন সুবিধা করতে পারবেন না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সিটিস অব লন্ডন এবং ওয়েস্টমিনস্টারের অন্য দল থেকে আসা চুকা উমুন্না এবং টোটনেসে সারা উওলাস্টনকে প্রার্থী করেছে লিবারালরা। তাঁদের জয়ের সম্ভাবনাও কম।
২০১৫ থেকে ওয়েস্ট মিনস্টারে সবথেকে বড় স্কটিশ দল এসএনপি। তাদের জয়ের উপর নির্ভর করছে স্কটল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ।
সমীক্ষা বলছে, ব্রেক্সিটের পক্ষে এবং বিরুদ্ধে সমর্থন প্রায় একই। কিন্তু ব্রেক্সিটপন্থীরা শুধু কনজারভেটিভদের ভোট দেবে। অন্যদের ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় সুবিধা পেতে পারে বরিস জনসনের দল। এই অঙ্কেই জয় দেখছেন বরিস।