বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন আয়োজিত ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এ যোগ দিতে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে এসেছেন মোদি। সম্মেলনের পোশাকি নাম ‘দাভোস ইন দ্য ডেসার্ট।’ সেই লক্ষে সোমবার মধ্যরাতে রিয়াধে পৌঁছন তিনি। সেখানে সৌদির বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলাজিজ বিন সলমন, শ্রম ও সমাজ উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ বিন সুলেমান আলরাঝি এবং পরিবেশ, জলসম্পদ ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুলরহমান বিন আব্দুলমোহসেন আল-ফাদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতার উন্নতিতে আলোচনা হয়েছে।’
মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের পশ্চিম উপকূলে যৌথ উদ্যোগে একটি তৈল শোধনাগার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও সৌদি আরব। সেখানে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের তৈল জায়ান্ট অ্যারামকো, আরব আমিরশাহির আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি এবং ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হল ভারত। দেশের প্রয়োজনের ৮৩ শতাংশ তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করে নয়াদিল্লি। ভারতকে তেল সরবরাহের নিরিখে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল সৌদি। সে দিক থেকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে দু’দেশের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বার সৌদি সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সে বছর তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান প্রদান করেছিলেন রাজা সলমন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে গিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স। ফলে গত তিন বছরে সৌদির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে সৌদির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪৮ কোটি ডলার। যার জেরে চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে সৌদি আরব।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশী ইয়েমেনের সঙ্গে সংঘাত চলছে সৌদির। সেখানকার হুথি বিদ্রোহীরা এখন রিয়াধের মাথারব্যাথার প্রধান কারণ। সম্প্রতি সৌদির তেল সংস্থার অ্যারামকোর সংশোধনাগারে ড্রোন হামলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই হামলার পিছনে হাত রয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের। একইভাবে পাক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নাজেহাল ভারত। গত ফেব্রুয়ারিতেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন ৪০ জন জওয়ান। এছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতকে ধারাবাহিকভাবে টার্গেট করছে পাকিস্তান।