বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গত মাসে প্রকাশিত ‘লোন উলফ’ নামে ওই ম্যাগাজিনে লোন উলফ হামলা কী, অপারেশনের মূলনীতি, নিজেকে প্রস্তুত করা, কমিউনিকেশনের কৌশল, সিসি ক্যামেরা এড়িয়ে চলা, টার্গেট সিলেকশন, টার্গেট প্রোফাইলিং, যাতায়াতের কৌশল, রেকি করার পদ্ধতি, অপারেশনের পরিকল্পনা, সিকিউরিটির জন্য ডু অ্যান্ড ডোন্টস অর্থাৎ কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, প্রয়োজনে টিম সিলেকশন, প্র্যাকটিস, অপারেশন পরিকল্পনার নমুনা, নিরাপত্তা সতর্কীকরণ, কিলিংয়ের বিষয়ে নির্দেশনা, স্যাবোটাজ,অপারেশনের পর বিবৃতি দেওয়ার কৌশলগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করেছে। ‘লোন উলফ’ অর্থ হল একাকী শিকারি। লোন উলফ হামলার হুমকি দেওয়া ওই ম্যাগাজিনে‘আমাদের টার্গেট’ শিরোনামের একটি অধ্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কাদের উপর হামলা করা যেতে পারে তার কিছু নমুনা দেওয়া হয়েছে। ওই নমুনায় বলা হয়েছে,আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশের (তুরস্ক বাদে) যে কোনও অমুসলিম বা উঁচু পদের কেউ। এসব দেশের ব্যবসায়িক কোম্পানিতে যারা কাজ করে তাদেরকেও টার্গেটের তালিকায় রাখা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনটি বহুজাতিক কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া পরিচালিত দু’টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ রয়েছে ওই প্রকাশনায়। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বা পদস্থ কর্তা, গুলশন-বনানীর বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে যাতায়াতকারী ‘শ্বেতাঙ্গ’ লোকজনও জঙ্গিদের তালিকাভুক্ত।
লোন অ্যাটাকের জন্য ভারত একটি আদর্শ জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে ভিসা সহজ করে দেওয়ায় ভারতে গিয়েও হামলা চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতে লোন উলফ টার্গেট হিসেবে বর্ণনা দিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক ওই ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী যে কোনও আমেরিকান, ইজরায়েল, অস্ট্রেলিয়া বা ব্রিটিশ নাগরিক,বিভিন্ন টুরিস্টস্পট, বার, হোটেল, নাইটক্লাব, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল জঙ্গিদের হামলার তালিকায় রয়েছে। এসব স্থানে প্রচুর বিদেশি (জঙ্গিদের ভাষায় কাফের) উপস্থিতি থাকে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের সিকিউরিটি ফোর্সের যে কোনও সদস্য, পুলিস, সিআরপিএফ বা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের কোনও সদস্য, ভারতীয় সেনার যে কোনও সদস্য, ভারতের উগ্র হিন্দু নেতা, ভারতীয় বিএসএফ, ভারতের কোনও ‘শাতিম’ (প্রকাশ্য নাস্তিক) কিংবা প্রকাশক কিংবা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনও নাস্তিকও টার্গেট হতে পারে।
বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা পাওয়া ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বা ট্রেনে আগুন লাগানো, বিভিন্ন বন্দরে নোঙর করা আমেরিকা, ইজরায়েল,ব্রিটেন, ফ্রান্স বা তুরস্ক বাদে ন্যাটো জোটভুক্ত যে কোনও দেশ এবং এর বাইরে ভারত ও চীনের পণ্যবাহী কার্গো ক্যারিয়ার ও তেলবাহী জাহাজে সাবোতাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া এদেশের সামরিক ফ্যাসিলিটিতে ট্রেনিং নিতে আসা বা ট্রেনিং দিতে আসা আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ এবং ভারত বা মায়ানমারের অমুসলিম সামরিক পুরুষ ও মহিলা তাদের টার্গেট বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।