ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বুধবার গুজরাতের লিম্বডিতে রাজপুতদের বিশাল বিক্ষোভসভা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। রাজকোটের বিজেপি প্রার্থী পুরুষোত্তম রুপালার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে। রুপালা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সম্প্রতি এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, রাতপুত শাসকরা ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। এমনকী ব্রিটিশদের সঙ্গে রাজপুত মহিলাদের বিয়েতেও তাঁরা আপত্তি করেননি। রুপালার এই মন্তব্যের প্রতিবাদেই সরব গুজরাতের পাশাপাশি রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের রাজপুতরা। তাঁদের দাবি ছিল, রুপালা ক্ষমা না চাইলে তাঁকে রাজকোটের প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে বিজেপিকে। তা না হওয়াতেই রাজ্যে রাজ্যে ছড়াচ্ছে রাজপুত ক্ষোভের আগুন। তৃতীয় দফায় গুজরাতের ২৬টি আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগে বিশেষ করে সৌরাষ্ট্র এলাকায় রাজপুত ক্ষোভ শামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদি-শাহের দল।
ব্রাহ্মণ ও বণিকদের মতো রাজপুতরাও বিজেপির দীর্ঘদিনের অনুগত ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত। রাজকোটে বিজেপি প্রার্থী রুপালার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদের নেতৃত্বে রয়েছেন মহেশ রাজপুত। তিনি বলেন, ‘আমাদের মহিলারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে তাঁরা জৌহর (আত্মাহুতি) পালন করতে চাইছেন। তাঁদের শান্ত করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হয়েছে। আমাদের সম্প্রদায় দেশের জন্য বহু বলিদান দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ করা হচ্ছে।’ অসন্তোষের সুর উত্তরপ্রদেশের তরুণ রাজপুত নেতা অভিষেক সোমের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে চাইছে। আমরা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে পর্যন্ত ভোট দিতে রাজি আছি। বিজেপিকে দেব না। স্বাধীনতার পর আমরা আমাদের করদ রাজ্য পর্যন্ত হারিয়েছি। কিন্তু এখন ওরা আমাদের ক্ষমতা কাড়তে চাইছে। আমরা ওদের (বিজেপি) ছাড়ব না।’ গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশের মতো ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে রাজস্থানেও। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। নেতৃত্বে রয়েছেন রাজপুত করণি সেনার সভাপতি মহিপাল সিং মাকরানা।