ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
১৩ মে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভার নির্বাচন হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। রাজ্যে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি ও জন সেনা পার্টির সঙ্গে জোট বেধেছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির জোটসঙ্গীদের তরফে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে। ইস্তাহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি অনুপস্থিত। শুধু স্থানীয় দাবিদাওয়াই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দুগ্গাবতী পুরন্দেশ্বরী অবশ্য জানিয়েছেন, ‘ওটা ওদের (জোট সঙ্গীদের) ইস্তাহার। তবে, কয়েকটি বিষয়ে আমাদেরও নৈতিক সমর্থন রয়েছে।’ যেমন, ২০১৮ সালে রায়ালসীমা সংক্রান্ত অঙ্গীকারের বিষয়ে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যার অঙ্গ হিসেবে কুর্নুলে একটি হাইকোর্ট চালু করা হবে। আর এই শহরকে অন্ধ্রের দ্বিতীয় রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হবে। পুরন্দেশ্বরীর যুক্তি, বিজেপি জাতীয় পর্যায়ে তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। কিন্তু, রাজ্যে (অন্ধ্রপ্রদেশ) ক্ষমতা এল জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেই যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। টিডিপি সুপ্রিমোও জানিয়েছেন, বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল।
এই ইস্তাহার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যে ক্ষমতাসীন ওয়াই এস আর কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি বলেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই ওখানে মোদির ছবি ব্যবহার করা হয়নি।’ ইস্তাহার বিতর্ক এড়াতে পুরন্দেশ্বরী অবশ্য কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তিন-চার মাস আগে টিডিপি এবং জন সেনা পার্টির মধ্যে জোট হয়েছে। তখনও আমাদের সঙ্গে ওদের সমঝোতা হয়নি। ওদের নির্বাচনী ইস্তাহার আগে থেকেই তৈরি ছিল। এটা একেবারেই ওদের নির্বাচনী ইস্তাহার। কিন্তু, এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনও প্রশ্নই নেই। পারস্পরিক মতবিরোধ এড়াতে মণ্ডল পর্যায়ে কমিটি গড়ে সমন্বয় রক্ষার কাজ চলছে।’