ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পূর্ণিয়া শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মাতা পূরণদেবীর মন্দির। জনশ্রুতি, সেখান থেকেই পূর্ণিয়া নামের উৎপত্তি। এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দ্বিতীয় দফায়, ২৬ এপ্রিল। ভোট-চর্চার কেন্দ্রে মূলত দু’টি বিষয়। শেষ মুহূর্তে নীতীশের বিজেপির হাত ধরা। আর অবশ্যই চর্চায় পাপ্পু যাদব। নিন্দুকরা তাঁকে বাহুবলী বলেন। অনুগামীরা মসিহা। এখানে জোট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন আরজেডির বীমা ভারতী। ‘পাল্টুরাম’ নীতীশের দল থেকে জার্সি বদলে এখন লালুর দলের নেত্রী তিনি। উল্টোদিকে পূর্ণিয়ার বর্তমান জেডিইউ সাংসদ সন্তোষ কুশওয়াকেই প্রার্থী করেছে এনডিএ। তাঁর দাবি, ২৬ বছর আগে সিপিএম বিধায়ক অজিত সরকারকে খুন কে করেছিল, সবাই জানে। আবার আরজেডি প্রার্থী বীমা ভারতী অভিযোগ করছেন, পাপ্পু বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
২০২০ সালের বিধানসভা ভোটের ফল অনুযায়ী এই লোকসভা কেন্দ্রের বনমানখি, করহা ও পূর্ণিয়া বিজেপির দখলে রয়েছে। রূপৌলি ও ধামদহ রয়েছে জেডিইউয়ের হাতে। কংগ্রেসের ঝুলিতে রয়েছে কাসবা বিধানসভা আসন। পূর্ণিয়ার ভোটারদের মতে, এবার একাধিক ইস্যুতে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে। আইন-শৃঙ্খলা এখানে অন্যতম বড় ইস্যু। কৃষকরা এখানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি ও ফসল বিমার দাবি তুলছেন। কোশি সহ ছ’টি নদীর কারণে পূর্ণিয়া বন্যাপ্রবণ। সেই সমস্যা মোকাবিলার দাবি উঠছে। এছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগ কম থাকায় বহু মানুষকে বাইরে কাজে যেতে হচ্ছে। আর রয়েছে জাতপাতের সমীকরণ। প্রায় সওয়া দেড় লক্ষ ব্রাহ্মণ রয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্রে। রয়েছে প্রায় সম সংখ্যক রাজপুত। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে কুশওয়া ও পাসোয়ান সম্প্রদায়ও। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মুসলিম-যাদব ভোট। এখানে মুসলিম ভোটার ২৪ শতাংশের মতো। যাদব ১০ শতাংশ। আর এই দুই অংশের মিলিত সমর্থনের আশাতেই এনডিএর হাত থেকে পূর্ণিয়া ছিনিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে আরজেডি। আর এই জায়গাতেই ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের বাড়া ভাতে ছাই ঢালতে পারেন ‘নির্দল’ পাপ্পু যাদব।