আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
সাতসকালে এক টাকায় ইডলি, ৫ টাকায় সাম্বর-পোঙ্গল মেলে এখানে। দুপুরে মেলে মাত্র ৫ টাকায় সাম্বর-ভাত। কার্ড-রাইস বা দইভাতের দাম আরও কম ৩ টাকা প্লেট। আর রাতে চাপাটি-ডাল ৩ টাকায়। টম্যাটো রাইস নিলে ৫ টাকা। সাধারণ গরিব মানুষের মুখে সস্তায় পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ২০১৩ সালে প্রকল্পটি চালু করেছিলেন স্বয়ং ‘আম্মা’। অথচ তাঁর জমানার শেষ থেকেই ক্যান্টিনগুলির হাল তথৈবচ। ভোট পাঁচটায় রামেশ্বরম বাসস্ট্যান্ডের ক্যান্টিনটি খুলতে আসেন বছর পঁয়তাল্লিশের কাবেরী। জলখাবার রান্না শুরুর আগে আধঘণ্টাই যায় রান্নাঘর থেকে ইঁদুর-আরশোলা তাড়াতে। কাবেরীদেবীই জানাচ্ছিলেন, ‘একদিন ছুটি পাই না। তবু গত ১০ বছর ধরে বেতন সেই দৈনিক ৩০০ টাকায় আটকে। তাও সবসময় মেলে না। বিক্রি কম বলে সেই টাকাও কাটা হয়। তার উপর রান্নাঘরের এই হাল। বাসনপত্রও এতদিনে একবারও বদল হয়নি। মিক্সার গ্রাইন্ডার খারাপ হলে নিজেদেরই টাকা দিয়ে সারাতে হয়।’
প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন আসেন আলান্দুরের আম্মা ক্যান্টিনে। ভিড় দিন দিন কমছে। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ অনেক। সাম্বর বা ডালে জল বেশি থাকে, বলছিলেন পেশায় শ্রমিক রাজুলিঙ্গম। তবু কম দামে সেটাই বা পাওয়া যায় কোথায়! গোটা বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর চলছে স্ট্যালিন ও পালানিস্বামীর দলের মধ্যে। ‘আম্মা’র দলের মুখপাত্র নির্মলার অবশ্য দাবি, ‘এটা কোনও লাভজনক প্রকল্প নয়, জলকল্যাণমূলক প্রকল্প। এই পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারের অবহেলাই দায়ী। আমরা ক্ষমতায় এলে এর বিহিত করব। তাই লোকসভা ভোটের আগেও এই ইস্যু মানুষের সামনে তুলে ধরছি।’
অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করছে ডিএমকে। তাদের দাবি, বিপুল লোকসান সত্ত্বেও প্রকল্পটিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সংস্কারও করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্যান্টিনের। কারণ, আমরা গরিব মানুষের কথা ভাবি।’