ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
কিন্তু ভোট এলেই মার খায় বাজার। নগদে কেনাকাটায় পড়ে ভাটা। জলে যায় মেহনত। নষ্ট হয় চুড়ি। এই গলিতে ঘরে ঘরে তৈরি হয় এসব। আটজনের কারিগরিতে তিনদিন লাগে একটা জুতি বানাতে। কাপড়, চামড়া, রেক্সিনের এই অভিনব জুতোয় কাশিরার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে উঠলে হয়ে যায় দেখার মতো। সেলাইয়ের কাজ করেন মহিলারাই। বিক্রি হয় ১০০-৪৫০ টাকার পাইকারি দরে। কিন্তু ভোটের সময় এলেই মাথায় হাত প্রস্তুতকারকদের। ইদানিং জিএসটির জন্যও বেড়েছে চাপ। আগে ছিল ৫ শতাংশ। এখন ১২।
মোজড়ি-মেকার মহম্মদ আসলাম, মাজ আলমদের গলায় ক্ষোভ। কী বলব ভাইসাহাব। ভোটের সময় ব্যবসায়ীরা আসে কম। আদর্শ নির্বাচন বিধির গেরোয় নগদ টাকা আনতে ভয় পাইকারি ক্রেতাদের। পুলিস ধরে যে। গণতন্ত্রে ভোট তো ভালো। সে কথা ভেবেই মেনে নিতে হয় এই সময়ে ব্যবসার মার। ‘কেয়া করু!’
একই সুর লাক চুড়ি প্রস্তুতকারক মহম্মদ সলমন গৌরীর। তিনি তো আবার তাঁর মোবাইলে দেখালেন ভিডিও। অভিযোগের সুরে বললেন, এই দেখুন চেকিংয়ের নামে পুলিস কেমন বাসের মাথা থেকে দমাদম মাটিতে ফেলছে লাক চুড়ির বড় বড় পেটি। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে নাগিনার (যাকে কারিগররা বলে হীরা) কাজ করা লাল, নীল, সবুজ, হলুদ হরেক রঙের হাজারো লাক চুড়ি। রাজস্থানের করোলি, ইন্ডোন, জয়পুরে তৈরি হয় এই লাক চুড়ি। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে বিশেষ কেমিক্যাল। তারপর ঘরোয়া পদ্ধতিতে গালা তৈরি। মুম্বই থেকে আসে নাগিনা। একেকজন কারিগর গড়ে একদিনে তৈরি করেন পঞ্চাশ জোড়া লাক চুড়ি। মেহনতের কাজ ভাইজান। কারিগররা শোনালেন নিজের গর্বের কথা। কিন্তু সঙ্গে থেকে যাচ্ছে আপশোসও। ভোটের সময় যে মার পড়ে ব্যবসায়!