সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বুধবার রামনবমীতে এই রামলালার সূর্যতিলকের বিশেষ আয়োজন করেছিল রামমন্দির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কীভাবে সম্ভব হল এই ঘটনা? জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টিই বিজ্ঞানভিত্তিক। যার নেপথ্যে ছিলেন কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্টোফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। অপ্টোমেকানিক্যাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তাঁরা একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি আয়না ও লেন্স ছিল। মন্দিরের তৃতীয়তলে পাইপের মতো যন্ত্রটি বসানো হয়। তার উপর সূর্যের আলো পড়তেই তা আয়নায় বিচ্ছুরিত হয়ে বেশ কয়েকটি লেন্সের মাধ্যমে সরাসরি রামলালার কপালে এসে পড়ে। মঙ্গলবারই এর একবার মহড়াও হয়েছিল।
কিন্তু, কীভাবে কাজ করে এই অপ্টোমেকানিক্যাল সিস্টেম? রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট -এর বিজ্ঞানী তথা ডিরেক্টর প্রদীপকুমার রামচারলা গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন, ‘টিল্ট মেকানিজম’-এ পাইপের মধ্যে চারটি আয়না এবং চারটি লেন্স থাকে। পাইপটি মন্দিরের ছাদ অবধি লম্বা। সূর্যরশ্মি ওই পাইপের মধ্যে থাকা আয়না এবং লেন্সে বিচ্ছুরিত হয়ে তা গর্ভগৃহে প্রবেশ করে। পাইপের শেষ লেন্স এবং আয়নাটি পূর্বমুখী করে এমন ভাবে বসানো হয়েছে যাতে সূর্যরশ্মি সরাসরি রামলালার কপালে এসে পড়ে। শেষ ধাপ আরও নিখুঁত করতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ফিল্টারও। প্রতি বছরই রামনবমীর দিন সূর্যতিলকের ব্যবস্থা থাকবে। ভোট প্রচারে এদিন অসমের ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই রামনবমীতে রামলালার সূর্যতিলকের ‘বিরল মুহূর্ত’ নিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, অসমের নলবাড়িতে সভার পর রামলালার সূর্যতিলক দেখলাম। কোটি কোটি ভারতবাসীর মতো আমার কাছেও এটা অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত। অযোধ্যায় রামনবমী ঐতিহাসিক।