সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষণা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এবার পৌঁছে যাবে জাতীয় স্তরে। ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে দেশের সব মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। বাংলার স্বাস্থ্যসাথী ১০ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা নিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে। শুধু তাই নয়, ‘জনবিরোধী’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও খারিজের শপথ নিয়েছে তৃণমূল। জানিয়েছে, এনআরসি’র আতঙ্ক শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হবে। মুছে ফেলা হবে দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সম্ভাবনাও। পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও তৃণমূলের অবস্থান পরিষ্কার। পেট্রল-ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম যেন থাকে মানুষের আয়ত্তে। সে জন্য ‘প্রাইজ স্টেবিলাইজেশন ফান্ড’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দাম বাড়লেও তার আঁচ সাধারণের উপর পড়বে না। ভর্তুকি দেবে সরকারই। মহিলা, মধ্যবিত্তের সঙ্গে যুবশক্তির দিকেও নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ বছর পর্যন্ত স্নাতক ও ডিপ্লোমা হোল্ডারদের জন্য ১ বছরের বৃত্তি সহ প্রশিক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় চালু হবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও।
১০৪ পৃষ্ঠার এই ইস্তাহারে জিএসটি ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানো হবে। বলা হয়েছে, মিড-ডে মিল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও বাংলাজুড়ে মা ক্যান্টিনের সম্প্রসারণ করা হবে। গঠিত হবে জাতীয় সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিষদ। পাশাপাশি জলাভূমি ও ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়ার কথা হয়েছে প্রচার পুস্তিকায়। মমতা বলেছেন, ‘এই ইস্তাহার আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ভিশন। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াটা আমাদের কর্তব্য। স্বাস্থ্য হোক, কৃষি বা শিক্ষা—প্রত্যেক ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ইস্তাহারই আমাদের রোডম্যাপ। উন্নয়নের অঙ্গীকার। শপথ।’