সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
‘ধন্দের কিছুই নেই। ওরা সব জালি। আই অ্যাম ওরিজিন্যাল ওপিএস অ্যান্ড মাই সিম্বল ইজ জ্যাকফ্রুট!’ দুপুর ১টা নাগাদ কারুম্বুকুট্টামের ছোট্ট রাস্তায় মাথা জ্বালিয়ে দেওয়া রোদের মধ্যেই একেবারে জলের মতো সহজ করে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন স্বয়ং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম। বাকিদের প্রতীক হল ‘আঙুরগুচ্ছ’, ‘গ্লাস’ ‘বালতি’, কৃষক ও আখগাছ’ ও ‘মটরশুঁটি’। আসল ওপিএস জয়ললিতার একান্ত অনুগত। কিন্তু নেত্রীর প্রয়াণের পর কোণঠাসা হয়ে শেষপর্যন্ত দলছাড়া হতে হয়েছে তাঁকে। ‘পয়া’ আসন খুইয়ে বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে নেতা এবার নির্দল হয়ে রামনাথপুরমে। পাশে পেয়েছেন মোদির বিজেপিকে। কানফাটানো পটকার আওয়াজের মধ্যেই গাড়ির মাথা থেকে চিৎকার ছুড়ছেন, ‘আমাকে চেনেন তো? ভ্যানের সামনে জমায়েত ৩০-৪০ জন হাত তুলে চেঁচাচ্ছে, ‘ওপিএস’। আবার ‘আমার প্রতীক জানেন তো?’ জবাব আসছে সামনে থেকে, ‘পালাপ্পালাম’, মানে কাঁঠাল আর কী! মাথায় সিঁদুরের ‘ড্যাশ’ পরা ওপিএস এবার আরও গম্ভীর গলায়, ‘মনে রাখবেন পাঁচজন পনীরসেলভম রয়েছেন। আমিই আসল। ১৯ তারিখ কাঠাল চিহ্নে ভোট দেবেন।’
রামনাথপুরম কেন্দ্রে ওপিএসের সঙ্গে মূল লড়াই ডিএমকে জোট প্রার্থী আইইউএমএলের নওয়াজ কানির। আম্মার দলের বাজি কৃষক জয়পেরুমল। সংগঠনের হাড়ির হাল বুঝে দলছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আঁকড়ে ধরেছে পদ্মপার্টি। ওপিএস নিজে কচ্ছথিবু-মৎস্যজীবীদের চাইতে এআইএডিএমকে-কে বর্তমান নেতা পালানিস্বামীর হাত থেকে ছিনিয়ে আনতেই বেশি আগ্রহী। তাই তো একদা যাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন, আম্মার সেই সখী শশিকলা এবং তাঁর ভাইপো টিটিভি দিনাকরণের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। দিনাকরণকে নিজের জেলা থেরি থেকে লড়াইতেও নামিয়েছেন।
রামেশ্বরম থেকে ফেরার পথে আসল ওপিএসের প্রচারে আটকে পড়েছিল বাস। পাশের সহযাত্রী একটু উঠে বাইরে দেখেই বসে পড়লেন। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ওপিএস জিতবে?’ বললেন, ‘ধুর, ওটা তো ওঁর থেভার সম্প্রদায়ের এলাকা। তাই একটু নাচানাচি করছে!’