সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কাঠপোতলির মহাবীর জাঠ, অংশু জাখরের মতো ভোটারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। বলছেন, চাকরি কই? আমাদের এখানকার যুবকদের সেনাবাহিনীতে চাকরির ঝোঁক। কিন্তু অগ্নিবীরে তো চার বছর ফের বেকার। বাকি অন্যত্রও সরকারি চাকরি নেই। ১০ বছর আগে দু’ কোটি চাকরি দেওয়ার গ্যারান্টি তো জুমলাই হল তাহলে? শাহপুর বাজারে লালচাঁদ জাঙ্গির বা আম্বের দুর্গের ফলওয়ালা রাজেশ সৈনির ফোঁস, কেয়া কামায়েঙ্গে অউর কেয়া খর্চ করেঙ্গে। মেহেঙ্গাই কি মার সমঝতে হ্যায়?
আর সেই ক্ষোভের জেহাদই ভোট বাক্সে জড়ো করার জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী জাতি জনগণনার ওপর জোর দিচ্ছেন। সেই পথ অনুসরণ করছেন তাঁর দলের প্রার্থী অনিল চোপড়া। যাদব সমাজের প্রতিনিধি। তরুণ। কংগ্রেসে শচীন পাইলট ঘনিষ্ঠ। তবে প্রথমবার লড়ছেন লোকসভায়।
সেই হিসেবে বিজেপির প্রার্থী রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। রাও রাজেন্দ্র সিং তিনবারের প্রাক্তন বিধায়ক। কিন্তু গত ১০ বছর জয়পুর গ্রামীণ লোকসভা আসনটি বিজেপির কব্জায় থাকলেও, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা কাটেনি। গ্রামের রাস্তাও খারাপ। ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এসে গেহলট সরকারের চিরঞ্জীবি স্বাস্থ্য প্রকল্পও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষ বাড়তি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতেই। তাই ভিতরে ভিতরে চড়ছে ক্ষোভের পারদ।
যদিও সেই ক্ষোভের পারদ প্রশমিত করতে বিজেপির দাওয়াই ‘মোদি কি গ্যারান্টি।’ রাও রাজেন্দ্র সিং বলছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পূরণ করেছেন।’ বলেই শোনালেন রামমন্দির, তিন তালাক, কাশ্মীরে ৩৭০ বাতিল, মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, বিনামূল্যে রেশন ইস্যুর কাটা রেকর্ড। কিন্তু ওতে কী হবে? প্রশ্ন কাঠপোতলি লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের সামনে জটলায় জড়ো হওয়া লালচাঁদ প্রসাদ, প্রশান্ত প্যাটেল, কুলদীপ মিনার মতো ষাটোর্ধ্বরা। তাঁদের তর্ক, জিনিসপত্রের দাম কমছে কি? নোকরি কাঁহা? ভোট এলে সবাই বড় বড় কথা বলে। ভোট গেলে ভুলে যায়।