সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
তড়িঘড়ি মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নিয়ে আজ, শুক্রবার বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। আদৌ কি ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে? সরকারের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন। সামনেই গুজরাত আর হিমাচল প্রদেশে ভোট। কৃষিমন্ত্রকও চাপে পড়েছে, পরিবেশ মন্ত্রক যদি ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়, তাহলে কৃষকদের কীভাবে বোঝানো হবে গুণাগুণ। ট্রায়ালে জমির ক্ষতি হলেই বা কীভাবে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। দুই মন্ত্রকে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। এই জিএম-সর্ষের ট্রায়ালের অনুমোদন দিতে গিয়েই মন্ত্রক হারাতে হয়েছিল প্রকাশ জাভরেকরকে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা জেনেটিক্সের অধ্যাপক দীপক পেন্টাল গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি করেছেন জিনগত পরিবর্তন ঘটানো সর্ষে বীজ। নাম ‘ধারা মাস্টার্ড হাইব্রিড-১১। যা ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কৃষির জন্য কার্যকরী’ বলেই তাঁর দাবি। একই মত ন্যাশনাল সিড অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ডিজি ডঃ কল্যাণ গোস্বামীর। তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। আমদানি নির্ভর হয়েই থাকতে হচ্ছে। তাই তৈল বীজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানের অবদান গ্রহণ করে জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত কৃষিজাত দ্রব্যর ওপর সরকারের জোর দেওয়া উচিত। এর আগে ২০১৭ সালে বর্তমান বিজেপি সরকার এই নিরিখে পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু পরে পিছিয়ে যায়। এবারও তা হলে দুঃখজনক হবে। মন্তব্য তাঁর। তবে জিএম-সর্ষে চাষে প্রবল আপত্তি তুলেছেন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের জাতীয় সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন। তিনি বলেন, মোটেই এই চাষের অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। এতে স্বদেশিয়ানা নষ্ট হবে। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বীজ থেকে শস্য উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে আদতে কৃষকের দুর্দশা ডেকে আনবে কেন্দ্র। আমাদের দেশের ফসল জিনগত পরিবর্তন ঘটানো বীজে তৈরি হয় না বলেই বিদেশিরা আমদানি করে। তাই জিএম শস্য উৎপাদন হলে, মার খাবে রপ্তানি। কুপ্রভাব পড়বে কৃষকের ওপর। চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। অবিলম্বে এই উদ্যোগ বন্ধের জন্য মন্ত্রীকে চিঠি লিখছি। একইভাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এ ধরনের হাইব্রিড বীজের চাষে যদি ২৫ শতাংশও অনুমোদন দেয় কেন্দ্র, তাহলে কমপক্ষে চার কোটি মানুষ কাজ হারাবে। মানুষ আর পরিবেশের স্বাস্থ্যকে আশঙ্কায় মুখে ফেলে দেবে। তাই মোদি সরকার যদি স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা ভেবে জিএম সর্ষে চাষে উদ্যোগী হয়, তাহলে তীব্র প্রতিবাদে নামব।