দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মান জানিয়েছেন, আমার মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী টেন্ডার এবং দ্রব্য ক্রয়-সংক্রান্ত লেনদেনে এক শতাংশ কমিশন চাইছিলেন। যা আমার নজরে আসে। এই মামলার কথা শুধুমাত্র আমিই জানতাম। মিডিয়া বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউই এই বিষয়টি জানত না। ফলে আমি চাইলে পুরো বিষয়টাই চেপে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করলে বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতাম। পাশাপাশি সেই সমস্ত ভোটারদের ফাঁকি দিতাম যারা আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন। তা আমি হতে দিতে পারিনা। সেজন্য তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিংলাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছি। পাশাপাশি পুলিসকে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, আমরা একটি সৎ সরকার। ফলে এক টাকারও দুর্নীতি আমরা একেবারেই বরদাস্ত করব না। বিরোধী দলগুলি অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করবে। বলবে আপের মন্ত্রী সরকার গঠনের কয়েক মাসের মধ্যেই দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। তবে আমি তাদের বলতে চাই, সিংলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীকে বরখাস্তও করেছি। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিসকে নির্দেশও দিয়েছি। আমরা দেশে পরিবর্তন আনবই। অন্যদিকে, আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেছেন, আম আদমি পার্টিই একমাত্র দল যার সততা, সাহস এবং ন্যায়পরায়ণতা রয়েছে। সেজন্যই এই দল দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এর আগে আমরা দিল্লিতে দেখেছি। এখন পাঞ্জাবেও দেখছি।
আম আদমি পার্টির দাবি, ভারতে ইতিহাসে দ্বিতীয়বার নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে সরাসরি এরকম ব্যবস্থা নিলেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমবার এই কাজটা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অভিযোগ ছিল, দিল্লিতে আগে সরকারি কাজ হত টাকার বিনিময়ে। এমনকী ফাইল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নিয়ে যাওয়ার জন্যও দিতে হত মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নেওয়া ফলে বর্তমান দিল্লি সরকার দুর্নীতিমুক্ত। ইতিমধ্যেই দিল্লিবাসীকে বলা হয়েছে, কাজের জন্য কেউ টাকা দাবি করলে তা যেন সরকারকে অবিলম্বে জানানো হয়। এই একই উদ্দেশ্য নিয়ে পাঞ্জাবেও সরকার গঠন করেছে আপ।