দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন বলেন, গোটা দেশজুড়েই বিচারকদের নিশানা বানানো হচ্ছে। বহু সময় জেলা বিচারপতিদের নিরাপত্তায় লাঠিধারী পুলিস পর্যন্ত থাকে না। দোষী সাব্যস্ত আইনজীবীর জেলের সাজা এদিন বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বলে, আইনজীবীরা আইনের ঊর্ধ্বে নন। বিচারের প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদেরও ফল ভুগতে হবে। এক শ্রেণির আইনজীবী শোধরানোর বান্দা নন। তাঁরা বিচার প্রক্রিয়ার কলঙ্ক। কড়া হাতেই তাঁদের মোকাবিলা করা উচিত। দোষী আইনজীবীর নামে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ইস্যু করে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, দোষী সাব্যস্ত আইনজীবী হাইকোর্টের কাছে একটি চায়ের দোকানে চলে যান। হাইকোর্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নথি তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার কাজে বাধা দিতে সেখানে জড়ো হন আরও ১০০ জন আইনজীবী। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। বিষয়টি ফের হাইকোর্টে উঠলে বিচারপতি পি টি আশার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন ওই আইনজীবী। তিনি যে অপরাধ করেছেন, তাতে দু’সপ্তাহের কারাদণ্ডের নির্দেশকে লঘু শাস্তিই বলতে হবে।
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, কিছু হাইকোর্টে বিচারপতিদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিচারপতিদের বলা হচ্ছে, সাহস থাকলে আমার নামে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে দেখান।
বিপদ বুঝে ওই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বিনা শর্তে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।