সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
শুক্রবার দুপুরে দিল্লির রোহিণী কোর্টের এই রুদ্ধশ্বাস অপারেশন যেন হার মানাবে রোমহর্ষক কোনও ক্রাইম থ্রিলারের চিত্রনাট্যকে। পুলিস জানিয়েছে, উকিল সেজে যারা গুলি চালিয়েছে, তারা ‘টিল্লু গ্যাং’য়ের লোক। নিহত জিতেন্দ্র মান ‘গোগী’র গোষ্ঠী এবং টিল্লু গ্যাং দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই একে অন্যের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। এই দুই গোষ্ঠীর গ্যাং ওয়ারে প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনেরও বেশি মানুষের।
পুলিস সূত্রের খবর, জিতেন্দ্র মান ‘গোগী’ এবং টিল্লু তাজপুরিয়া ছেলেবেলার বন্ধু। পরে তা বদলে যায় পেশাগত শত্রুতায়। ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তির ব্যবসায় প্রবেশ গোগীর। এরপর থেকেই টিল্লু গ্যাংয়ের সঙ্গে শত্রুতা আরও বৃদ্ধি পায়। সেই শুরু। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল ‘মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট’-এর আওতায় জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে বেশ কয়েক মাস আগে। এর আগে একাধিক কেসে সে তিহার জেলে ছিল। পুলিস সূত্রের খবর, শুক্রবার রোহিণী আদালতে তার হাজিরা জেনেই ছক কষে টিল্লু গ্যাং। উকিলের পোশাক থাকায় কেউ সন্দেহ করেনি। বিনা বাধায় তারা এজলাসে ঢোকে এবং বিচারকের সামনেই গুলি চালায়। গুলিতে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী আহত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, গোগীর এক সহযোগী সম্প্রতি করকরডুমা কোর্ট থেকে পুলিসের নজর এড়িয়ে পালিয়েছে। তবে কড়া পুলিসি প্রহরা সত্ত্বেও কীভাবে কোর্টরুমে দিনদুপুরে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায় থাকা দিল্লি পুলিস। নিরাপত্তায় যে বিস্তর ফাঁক ছিল, তা স্বীকার করেছেন দিল্লি পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানা। তবে একইসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা গ্যাং ওয়ার নয়। পুলিস সচেতন ছিল বলেই সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা গুলি চালিয়ে দু’জন গ্যাংস্টারকে মারতে পেরেছে। তবে সুরক্ষায় গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শ্যুটআউটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা। এব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেলের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। শীর্ষ আদালতের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পর আদালতের কাজকর্ম অব্যাহত রাখতে বিচারপতি প্যাটেলকে পুলিস ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি রামনা। আইনজীবীদের অভিযোগ, আদালতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও আদতে চেকিংই হয় না। বিশেষ করে উকিলের পোশাক পরে কেউ এলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয় না। যার ফায়দা তুলেছে দুষ্কৃতীরা। দিল্লি বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাকেশ শেরাওয়াত জানান, ঘটনার প্রতিবাদে ২৫ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি পালন করবেন আইনজীবীরা। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।