লন্ডন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিতর্কে কাশ্মীরে মানবাধিকার প্রসঙ্গ উঠতেই তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’ (এপিপিজি)-এর বিতর্কে ‘ব্যাকবেঞ্চ ডিবেট’ অর্থাৎ পিছনের সারির আলোচনা বলে তোপ দেগেছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তথা লেবার পার্টির এমপি নাজ শাহর মন্তব্য তুলে তাঁকে আক্রমণ করেছেন লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের এক আধিকারিক। কাশ্মীর ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কমিশনের ওই আধিকারিক বলেন, ‘ভারতীয় হাই কমিশন আবার বলছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ অংশ নিয়ে কোনও মঞ্চে আলোচনা হলে, তা যথাযথ ও যাচাই করা তথ্যের উপর করতে হবে।’ প্রসঙ্গত পাক বংশোদ্ভূত সাংসদ নাজ শাহ বিতর্কে অংশ নিয়ে বলেন, অসমাপ্ত দেশভাগের বিষয়টি কীভাবে গুজরাত দাঙ্গার কষাই মেটাতে পারে? ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই বিতর্ক সভা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছিল। বিতর্কের সূচনা করেন ব্রিটেনের বিরোধী দলনেতা দেবি আব্রাহাম। সেখানে তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর সফরের স্মৃতিকথা তুলে ধরেন।
হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কের আলোচ্য বিষয় যে দেশের অবস্থান নয়, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ব্রিটেনেরর এফসিডিও (এশিয়া) মন্ত্রী আমান্দা মিলিং। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ব্রিটিশ সরকার সেই অবস্থান থেকে সরে আসেনি। তাঁর কথায়, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। কিন্তু, রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ভারত ও পাকিস্তানের। এবং তা কাশ্মীরবাসীর কথা ভেবেই করতে হবে। একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্রিটেন সমাধান বাতলে দিতে পারে না।’