সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
বৃহস্পতিবারই ১১৮টি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির এম কে ওয়ান অর্জুন ব্যাটল ট্যাঙ্ক সেনাবাহিনীতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের ৫৬টি ট্রান্সপোর্ট বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সামরিক বাহিনীর জন্য। শুক্রবার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়িত করতে খরচ হবে ২২ হাজার কোটি টাকা। স্পেনের এয়ারবাস এবং ভারতের টাটা সংস্থা এই ৫৬টি পরিবহণ বিমান নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিতে যুক্ত থাকবে। এই প্রথম এই বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষা বরাত দেশের কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হল। প্রাথমিকভাবে ১৬টি বিমান আসবে স্পেন থেকে। এই অর্ডার দ্রুত ডেলিভারি করতে বলা হয়েছে। এই পরিবহণ বিমান ব্যবহার করা হবে তিন বাহিনীর জন্যই।
বৃহস্পতিবারই ১১৮টি অর্জুন ট্যাঙ্ক অর্ডার করা হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এই আধুনিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করবে। ৭৫২৩ কোটি টাকার এই নতুন ব্যাটল ট্যাঙ্কে ৭২টি সম্পূর্ণ নতুন বৈশিষ্ট্য আছে। ওই অর্ডারের ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২২ হাজার কোটি টাকার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট অর্ডার দেওয়া নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। কিছুদিন আগেই স্থির হয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচে ৬টি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত হবে নৌবাহিনীর সম্ভারে। এখন প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভেবেছে ওই ৬টি সাবমেরিনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরমাণু অস্ত্র বহনকারী সাবমেরিনও আনা হবে। সম্ভবত ফ্রান্স থেকে আনা হবে ওই সাবমেরিন।
এভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিপুল সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং সমর উপকরণ নিয়ে এসে বড়সড় সমরসজ্জার বার্তাই দিতে চাইছে। এভাবে হঠাৎ একের পর এক সামরিক চুক্তির পিছনে দীর্ঘমেয়াদি ও সুদুরপ্রসারী কোনও পরিকল্পনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা চাইছে দ্রুত ওই অত্যাধুনিক সাবমেরিন আনতে। যেহেতু ফ্রান্স প্রস্তুত এবং এখনই অর্ডার করলে ডেলিভারিও হবে দ্রুত। তাই প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ ভারত সরকার সামরিক শক্তি বাড়ানোর সক্রিয়তা কেন দেখাচ্ছে? তাহলে কি চীন ও পাকিস্তানের গতিপ্রকৃতি থেকে কোনও উদ্বেগজনক রিপোর্ট আসছে?
বিশেষ করে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর ভারতের অন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এখনও চীন লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার একাধিক স্থান থেকে সরে যায়নি। সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরও লাল ফৌজ সরছে না। যা নিয়ে চাপানউতোর রয়েই গিয়েছে। উল্টে পাকিস্তানও সুযোগের অপেক্ষায়। তাই দিল্লিও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না।