বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের কুর্সিতে বসার শপথ নেন জো বাইডেন। আর বৃহস্পতিবারই সংবাদ শিরোনামে চলে এল নাগপুরের একটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পরিবার। বাইডেনের পূর্বপুরুষের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে। এতদিন পর ওই পরিবার প্রকাশ্যে এল কেন? জবাবে পরিবারের সদস্যা সোনিয়া বাইডেন বলেন, ‘আমরাই লাইমলাইটে আসতে চাইনি। কারণ প্রেসিডেন্টের যোগসূত্রের খবর মিললেই সংবাদমাধ্যম পিছনে পড়ে যেত। সেকারণেই আমরা নিজেদের সামনে আনতে চাইনি।’ তবে এখন আর লুকোছাপার কোনও ব্যাপার নেই। জানিয়েছেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই পরিবারের কর্তা লেসলি বাইডেনের নিয়মিত চিঠি আদানপ্রদানও হতো। এই লেসলি এবং জো একই বংশের সন্তান। তাঁদের পূর্বপুরুষ ছিলেন জন বাইডেন এবং তাঁর স্ত্রী অ্যানে বিউমন্ট। ১৮৭৩ সাল থেকে নাগপুরেই পাকাপাকিভাবে বাস করছেন এই পরিবার। লেসলির সঙ্গে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত জো বাইডেনের যোগাযোগ ছিল। ওই বছরই মৃত্যু হয় লেসলির। তার পর থেকে আর সরাসরি যোগাযোগ নেই বাইডেনের সঙ্গে।
কিন্তু কে এই জন বাইডেন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ছিলেন। সেই সূত্রে নাগপুরের বাইডেন পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে অবিভক্ত ভারতের নানা সময়ের কথা উঠে আসছে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বিউমন্টকে বিয়ে করেছিলেন জন। তাঁদের আট ছেলেমেয়ে। বড় ছেলে ক্রিস্টোফার পরবর্তীকালে ভারতে এসে জানতে পারেন যে, তাঁর পৈত্রিক ভিটেবাড়ি ছিল তৎকালীন মাদ্রাজে। ক্রিস্টোফার সেখানেই থেকে যান। সংসারও পাতেন। এই ভাবেই ভারতে বাড়তে থাকে বাইডেন পরিবার। চেন্নাই ছেড়ে ভারতের নানা জায়গায় সেই পরিবার ছড়িয়ে পড়ে। ক্রিস্টোফারের ছেলে লেসলি চলে আসেন নাগপুরে। কাজেই নাগপুরের বাইডেন লেসলিরই পরবর্তী প্রজন্ম বলে জানা গিয়েছে। লেসলির মেয়ে ইভলিন। তিনি বিয়ে করেন এক বাঙালিকে। তাঁর নাম ক্যাপ্টেন দীপক মজুমদার। জানা গিয়েছে, এই পরিবারের শিকড় কলকাতাতেও রয়েছে। একসময় লা মার্টিনিয়ার স্কুলের অধ্যাপক ছিলেন কোনও এক বাইডেন। মনে করা হচ্ছে, তিনি এই পরিবারেরই সদস্যা। লেসলিরই আর এক নাতনি সোনিয়া। তিনিই মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্রের নানা কথা প্রকাশ্যে আনেন। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যরা।