নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি,২৪ মে: করোনা পরবর্তী রাজনীতি তথা ভোটের প্রচার কাঠামো বদলে যাচ্ছে। আগামী দিনে নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনগুলির প্রচারাভিযানে আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এরপর আবার পূর্ণাঙ্গ বিধানসভা ভোট আসতে চলেছে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিহারে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে ২৪টি বিধানসভা আসনেও হবে উপনির্বাচন। অবশ্য নামে উপনির্বাচন হলেও, ওই ২৪টি আসনের ফলাফলের উপর মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এই মুহূর্তে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রচার করা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিয়েও ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ, রাজনীতি তথা নির্বাচনের প্রধান অনুষঙ্গই হল, সমাবেশ, জনসভা, মিছিল, পদযাত্রা ইত্যাদি। করোনা সতর্কতার প্রোটোকলে এসবই নিষিদ্ধ তালিকায়। প্রতিটি কর্মসূচিতেই শারীরিক সংস্পর্শের সম্ভাবনা প্রবল। তাই এখন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করোনা পরবর্তী রাজনীতির প্রক্রিয়া কী হওয়া উচিত, সেটা স্থির করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে দলীয় স্তরে।
এই প্রক্রিয়ায় বিজেপি ইতিমধ্যেই অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। বিহার ও মধ্যপ্রদেশের আসন্ন ভোটের প্রচার কৌশল চূড়ান্ত করতে চলেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। বিজেপি স্থির করেছে,‘সপ্তর্ষি যোজনা’ নামক একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে আগামীদিনে নির্বাচনী প্রচার কার্যকর করা হবে। করোনার জেরে যেহেতু সরাসরি সভা সমাবেশ করা বাস্তসম্মত নয়, তাই বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল প্রচারেই সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে বলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করেছে। ‘সপ্তর্ষি যোজনা’র মাধ্যমে বুথস্তরে সাতজন কর্মী নিয়ে একটি করে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপ গঠন করা হবে। এই সাতজনের দল নিজেদের এলাকায় ভোটারদের মধ্যে লাগাতার ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাবে। প্রার্থীর বক্তৃতাও প্রচার করা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।