কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয় গত বছর আগস্ট মাসে। অশান্তির আশঙ্কায় সেই থেকে বন্ধ ছিল উপত্যকার সমস্ত স্কুল। শেষ কয়েকমাস স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে স্কুল খুললেও ইউনিফর্ম পরে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যেতে মানা ছিল প্রশাসনের। সাধারণ পোশাকে স্কুলে গিয়ে হোমওয়ার্ক নিয়ে এসেছে তারা। নির্ধারিত সময়ে সেই হোমওয়ার্ক জমাও দিয়ে এসেছে তাদের কেউ কেউ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না পাঠিয়ে অভিভাবকরা নিজেরাই যেতেন স্কুলে। এদিন পুরোদস্তুরভাবে উপত্যকার প্রায় প্রতিটি স্কুলের দরজা খোলে। ইউনিফর্ম পরে সকালের স্কুলে হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। তাদের যাতয়াতের পথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কোনওরকম ঝুঁকি নেয়নি রাজ্যের পুলিস প্রশাসন। ভোর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা । এমনকী স্কুল চত্বরকে ঘিরেও ছিল কড়া নিরাপত্তা। তার মধ্যেই স্কুলে এসে ক্লাস করতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা।
যেমন, জিয়া জাভেদ। শ্রীনগরের একটি নামজাদা বেসরকারি স্কুলের ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্র। স্কুল থেকে বেরিয়ে হাসিমুখে সে বলছিল, ‘ দারুন লাগছে। বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে ক্লাস করার অনুভূতিটাই আলাদা। শিক্ষিক-শিক্ষিকারাও আমাদের দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে বড্ড খারাপ লাগছিল। শুধু ভাবতাম, ইউনিফর্ম পরে কবে স্কুলে যাব।’ চতুর্থশ্রেণীর ছাত্র নুমানের মুখেও হাসির ঝিলিক। সে বলছিল, ‘টাস্ক নিতে স্কুলে বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। সেগুলি জমাও দিয়ে গিয়েছি বাবা-মা’য়ের হাত ধরে। আজ স্কুলের ইউনিফর্ম পরে ক্লাস করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব ভালো লাগছে। আমি ভালো পড়াশোনা করে চিকিৎসক হতে চাই।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা বলছিলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরকে নিয়ে রাজনীতি যাই হোক না কেন, ছোট ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে সবাই সচেষ্ট হোক। কারণ, ওদের এই শৈশব আর ফিরে আসবে না।’