কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে নথিভুক্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৬১ হাজার। সেখানে দেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। জানা গিয়েছে, প্রতি বছর যতজন চিকিৎসক নথিভুক্ত হন, ধরা হয় তার মধ্যে ৮০ শতাংশ ডাক্তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত থাকেন। বাকি ২০ শতাংশ প্রশাসনিক কাজ কিংবা অন্যত্র কাজ করেন। সেই হিসেবে চিকিৎসক-রোগী অনুপাত কমানোর ক্ষেত্রে দেশজুড়ে ডাক্তারি আসন বৃদ্ধি এবং নয়া মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, মোদি সরকারের শেষ পাঁচ বছরে দেশে ২৯ হাজার ১৮৫টি ডাক্তারি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও নয়া মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম-কানুন অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। চিকিৎসকদের আরও বেশিদিন এই পেশার সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে রাখতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে ছাত্র-প্রফেসর অনুপাত আগের তুলনায় কমানো হয়েছে।
দিল্লির কর্তাদের কথায়, এখন দেশের শহরের তুলনায় গ্রামে চিকিৎসকদের সংখ্যা অনেকেটাই কম থাকে। কারণ, এখনও বিবিধ পরিষেবার ক্ষেত্রে শহর-গ্রামের কিছু ফারাক রয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের জোগান দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যগুলির ঘাড়ে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও ওই মহলের বক্তব্য, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। তাই রাজ্যগুলি এ সংক্রান্ত যে কোনও সহায়তা চাইলে, তা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক কর্তা বলেন, পরিবর্তনের জমানাতে বাংলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং ডাক্তারি আসন আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে ডাক্তারি পাশ করার পর এ রাজ্যে ছেড়ে অনেকেই বিদেশ কিংবা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। তার উপর চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ক্রমেই বাড়তে থাকায়, একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই আপেক্ষিকভাবে বাংলার রোগী–চিকিৎসক অনুপাত অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটা খারাপ দেখাচ্ছে।